শুধু ব্যায়াম নয়…
- হেলথ অ্যান্ড লাইফস্টাইল ডেস্ক
শরীর গঠনের জন্য নিয়মিত জিমে যাচ্ছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করে ঘাম ঝরাচ্ছেন। অনেকেরই ধারণা নিয়মিত ব্যায়াম করছি, আর কী চাই। শরীর এখন ঠিক পথে আছে। কিন্তু এটি ভুল ধারণা। শরীর গঠন বা শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রয়োজন বিশ্রামের। সোজা কথায় ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। ব্যতিক্রম হলে সমস্যা হতে পারে।
অনেকেরই ঘুমের সমস্যা আছে। ঘুমের ব্যাঘাতের কারণে শুধু ক্লান্তি নয়, ঘাড়ে, পিঠে, অস্থি এবং মাংসপেশিতে নানা সমস্যা হতে পারে। আজকাল আমরা এতটাই ব্যস্ত থাকি অনেক সময় ঘুমের অবহেলা করি। প্রয়োজনে বা অপ্রয়োজনে ঘুমাতে দেরি বা অল্প সময় ঘুমাই। জীবিকা, সামাজিকতা রক্ষা, নানা বিনোদনের কারণেই ঠিকমতো ঘুমানো হয় না। তা ছাড়া কৃত্রিম আলো আর শব্দের দাপটেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অথচ সুস্থ শরীরের জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। একটা কথা মনে রাখা প্রয়োজন, আমাদের শরীর কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে চলে। রাত নামলে শরীরে ঘুমের দরকার। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের ভাষ্যটাও জেনে নেওয়া যাক, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে চললে মানসিক ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শুধু তা-ই নয়, কমে যায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ঘুম নিয়ে কিছু ভুল ধারণাও আছে। অনেকে মনে করেন সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমালেই হলো। কিন্তু কখন ঘুমাচ্ছেন তাও খেয়াল রাখা দরকার। রাত ২টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঘুমালেই সাত ঘণ্টা হয়। কিন্তু এটা কিন্তু ঘুমানোর জন্য মোটেও উপযুক্ত সময় নয়। এতে অনেকেরই মাথা ধরতে পারে, ব্যাঘাত হতে পারে মনঃসংযোগে, স্মরণশক্তিতেও সমস্যা হয়। ব্যায়াম কিন্তু এ সমস্যাগুলোর সমাধান নয়।
ফলে শরীর ঠিক রাখতে রাত ১০টার মধ্যে শুয়ে পড়া উত্তম। এতে অনেক উপকার। সারা দিনে শরীরের ওপর যে ধকল যায় প্রথম চার ঘণ্টায় সেসব ক্ষতির মেরামতের কাজ চলে। কোনোভাবে অস্থি, মাংসপেশিতে আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে এ সময়টাতে ঘুম খুব জরুরি। এরপর শুরু হয় মানসিক ক্ষয়ক্ষতি মেরামতের কাজ। ফলে আগে ঘুমানোর উপকারিতা এবং দেরি করে ঘুমানোর ক্ষতির বিষয়টা এখন অনেকটা পরিষ্কার।
টিপস
- যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘুমিয়ে পড়ুন।
- ঘুমের আগে উজ্জ্বল আলো নিভিয়ে দিন।
- বেশি রাতে চা বা কফি পরিহার করুন।
- প্রচুর পানি পান করুন।
সূত্র: কালের কন্ঠ