বিটরুটের যত উপকারিতা

বিটরুটের যত উপকারিতা

  • হেলথ অ্যান্ড লাইফস্টাইল ডেস্ক

সুপার ফুড হিসেবে বিটরুট এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি এমন একটি সবজি যা কোনো না কোনো উপায়ে শরীরের উপকার করে।

বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। প্রাচীনকাল থেকেই এটি নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা কমাতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিয়মিত বিট জুস খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

১. নানা ধরনের অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিট জুস বেশ উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার, হৃদরোগ, আর্থাইটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা ধরনের রোগ সারাতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত পরিমাণে বিট জুস খেলে শরীরের টক্সিন দূর হয়। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এ জুস বেশ উপকারী।

২. ত্বকের যেকোন ধরনের প্রদাহ সারাতে বিট জুসের তুলনা নেই। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।

৩. প্রতি ১০০ গ্রাম বিটরুটে শতকরা ২৭ ভাগ ফলিক এসিড থাকে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় এটি খেলে শিশুর জন্মকালীন ত্রুটি হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৪. নিয়মিত বিট জুস খেলে চোখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

৫. আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস হওয়ায় বিট জুস রক্তশূন্যতা রোধ করে। এটি খেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন বি১২-ও পাওয়া যায়।

৬. লিভারে সুস্থ রাখতে বিটরুট কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এতে থাকা ফাইবার শরীর ডিটক্সিফাই করে।

৭. কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর জমা প্রতিরোধে সাহায্য করে বিটরুট।এ ছাড়া নিয়মিত এ জুস খেলে উচ্চ রক্তচাপ কমে। সেই সঙ্গে পাকস্থলীতে এসিড জমাও রোধ হয়।

নানা ভাবে বিটরুট খাওয়া যায়। এটি কাঁচা বা জুস করে খেতে পারেন। তবে জুস করার সময় গাজর, শসা, সেলেরি যোগ করলে আরও উপকার পাওয়া যাবে। সালাদ তৈরি করতেও বিটরুট ব্যবহার করতে পারেন।

সূত্র : হেলদি বিল্ডার্জড ও সমকাল

Sharing is caring!

Leave a Comment