করোনাভাইরাস নিয়ে ডা. মীরজাদীর পরামর্শ

করোনাভাইরাস নিয়ে ডা. মীরজাদীর পরামর্শ

  • হেলথ ডেস্ক

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যেই আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে এবং নিয়ম মেনে চলতে হবে। করোনাভাইরাস নিয়ে ব্র্যাকের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কথা বলেছেন ও পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

মীরজাদী সেব্রিনার কাছে প্রশ্ন ছিল, কারা আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে পারবে? তিনি বলেন, সবার আইইডিসিআরে যোগাযোগ করার দরকার নেই। যদি সদ্য বিদেশফেরত কেউ বা বিদেশফেরত ব্যক্তির সঙ্গে মিশেছেন এমন কারও জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট—এই উপসর্গগুলো দেখা যায় বা করোনাভাইরাস সন্দেহ হয়; তাহলেই আইইডিসিআরে যোগাযোগ করতে পারবে। আইইডিসিআরের সহযোগিতা পাওয়ার জন্য ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে-IEDCR COVID-19 Control Room, ই-মেইল ঠিকানা: iedcrcovid 19 @gmail. com, আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর 333, স্বাস্থ্য বাতায়ন 16263.

মীরজাদী সেব্রিনা করোনা পরিস্থিতে মানুষের করণীয় নিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। যদি বাড়িতে কারও জ্বর হয় তাহলে তাকে অবশ্যই পরিবারের সদস্যদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। পরীক্ষা করার পর হয়তো বলা যাবে সেটা করোনাভাইরাস কি না, কিন্তু সর্দি-কাশি হলে অবশ্যই অন্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। বারবার সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সবাইকে সাধারণ হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে। আমরা যখন হাঁচি-কাশি দিই, তখন সেটার ড্রপলেট এক মিটার পর্যন্ত থাকে। তাই এই এক মিটার এর মধ্যে যাওয়া যাবে না বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’

মীরজাদী সেব্রিনার কাছে জানতে চাওয়া হয়, হোম কোয়ারেন্টিন কী? কীভাবে করতে হবে? জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা হোম কোয়ারেন্টিইন বলতে বুঝিয়েছি ঘরের মধ্যে থাকা। যদি কোনো ব্যক্তি জ্বর, সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত হন, তাহলে তাকে নিজের ঘরে এমনকি পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকেও দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যত দিন না তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।’

করোনাভাইরাস নিয়ে নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকেও জানান। নিয়ম মেনে চলুন। সুস্থ থাকুন।

Sharing is caring!

Leave a Comment