দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?

দিনে কয়টি ডিম খাওয়া উচিত?

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক

সানডে কিংবা মনডে, রোজ খাও আন্ডে। ডিম যে স্বাস্থ্যকর তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিদিনের ডায়েটে ডিম রাখতে বলেন চিকিৎসকরাই। ডিমকে পুষ্টিকর জিনিসের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রোটিন, ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ডি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

পুষ্টিবিদদের মতে, ডিম ভালোবাসার নেপথ্যে শুধু স্বাদই নয়, রয়েছে পুষ্টির কারণও। ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে শরীরে দরকারি প্রোটিনের অনেকটা জোগান দেওয়া সবটাই করে থাকে ডিম। শুধু প্রোটিনই নয়, ডিমে রয়েছে ভিটামিন ৬, ভিটামিন ১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম-ম্যাগনেশিয়াম-সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিঙ্ক, ভিটামিন ডি-সহ নানা প্রয়োজনীয় উপাদান। অন্যান্য উপাদানগুলি ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, একটা বড় ডিমে থাকে ছয় গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়া ডিমের প্রচুর পুষ্টিগুণ থাকে যার ফলে অনেকক্ষণ পেটভরা থাকে। এর ফলে সারা দিন আপনার কাজের মান বাড়ে। চোখ, হাড়, চুল, নখ সব কিছুরই খেয়াল রাখে ডিম।

কোলেস্টেরলের পরিমাণ

কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে খুব বেশি ডিম খাওয়া এড়িয়ে চলা পরামর্শ দেন। একটি ডিমে ২০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত কোলেস্টেরল পাওয়া যায়। সমীক্ষা অনুসারে জানা গিয়েছে, একদিনে শরীরকে সর্বোচ্চ ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল দেওয়া উচিত। যখন উচ্চ কোলেস্টেরল হয়, এটি খারাপ কোলেস্টেরলের মতো কাজ করে এবং এটি শরীরের ক্ষতি করতে পারে।

দিনে কয়টা ডিম খাওয়া প্রয়োজন?

ডিম খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বলা হয়, অন্যদিকে এর অসুবিধাগুলিও রয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠছে যে একদিনে কত ডিম খাওয়া উচিত? সাম্প্রতিক এক গবেষণায় অনুসারে, একজন সুস্থ ব্যক্তির সপ্তাহে সাতটি ডিম খাওয়া উচিত। তবে এটি ব্যক্তির স্বাস্থ্য এবং রুটিনের উপর খুব নির্ভর করে। আপনার যদি কোনও অসুবিধা না হয় তবে, দিনে তিনটি ডিম খেতে পারেন।

ডিম খাওয়ার অসুবিধা

নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি ডিম খেলে ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। ডিম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী তবে এগুলি প্রচুর পরিমাণে খাওয়া আমাদের দেহেরও ক্ষতি করতে পারে। ডিমের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়লে দেহে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ডায়রিয়ার মতো বিপজ্জনক রোগও হতে পারে, তাই এটি নিয়ন্ত্রণে খাওয়া উচিত। এখনও পর্যন্ত গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি দিনে কতগুলি ডিম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তির স্বাস্থ্য, তার জীবনধারা এবং রুটিন অনুযায়ী ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অতিরিক্ত ডিম যাতে না খাওয়া হয় তা বলা হয়েছে।

সূত্র: এই সময়

Sharing is caring!

Leave a Comment