নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল বন্ধ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নেপালের কেবল টিভি অপারেটররা সবগুলো ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছেন। ভারতের অনানুষ্ঠানিক ‘পণ্য অবরোধ’-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তারা। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, হিমালয়ের দেশ খ্যাত নেপাল সীমান্তে মদেশিয়ার বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ায় ভারত-নেপাল সীমান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী অসংখ্য ট্রাক আটকা পড়ে আছে।
নেপালের নতুন সংবিধানে সাত রাজ্যের মডেল ‘বৈষম্যমূলক’ দাবিতে বিক্ষোভ করছেন মদেশিয়ারা। এর আগে নেপালে ক্রমবর্ধিষ্ণু ‘ভারতবিরোধী’ মনোভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শুক্রবার নেপালের ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রণজিৎ রায় বলেছিলেন, ‘রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো কারণে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য পূরণে এই মানসিকতা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করছি আমরা।’

‘ন্যাশন অ্যাহেড সিরিজ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখাকালীন তিনি বলেন, ‘ক্রমবর্ধিষ্ণু ভারতবিরোধী মনোভাবের বিষয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ ধরনের মানসিকতা ভারত ও নেপাল- উভয়ের জন্যই সমান ক্ষতিকর।’
প্রসঙ্গত, ভারত-নেপাল সীমান্তের প্রবেশ পথগুলোতে সৃষ্ট অবরোধের কারণ হিসেবে নেপালের নতুন সংবিধান ও দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক পালাবদল- ইত্যাদি কারণে ভারত সরকারের অসন্তোষকেই মনে করছেন নেপালের বর্তমান সরকার ও জনসাধারণ। তবে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই সীমান্তে অবরোধের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ভারত সরকার।
এদিকে, অবরোধের কারণে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল নেপালে গত কয়েক মাসে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ সংযোগসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, এমনকি চিকিৎসা খাতেও তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে নেপালের জনজীবন এবং প্রভাব পড়েছে ভারত-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কেও।