তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাক্তি !
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সৌদি আরব সম্প্রতি তার প্রতিবেশি দেশ ইয়েমেন ও ইরানের সঙ্গে যে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে সে সম্পর্ককে বাংলা বাগধারায় বলে ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক। সমগ্র বিশ্ব এই মুহূর্তে ভয়াবহভাবে আশঙ্কা করছে যে, যেকোনো মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশ। কিন্তু মাস কয়েক আগেও অবস্থা এমন ছিল না। মোটামুটি সংঘাত-ঘংঘর্ষ এড়িয়েই চলেছে সৌদি আরব। হঠাৎ সৌদি আরবের এই বেপরোয়া নীতির কারণ কী? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর পেছনে দায়ী একজন ব্যাক্তি যার নাম মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এই মোহাম্মদ বিন সালমানকেই এখন মনে করা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাক্তি।
২০১১ সালে তার বাবা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডেপুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তখন মোহাম্মদ বিন সালমান ছিলেন তার ব্যাক্তিগত উপদেষ্টা। ফলে তিনি অন্যান্য ভাইদের তুলনায় সব সময় তার বাবার আনুকূল্য পেয়েছেন। এভাবেই ধীরে ধীরে সৌদি সাম্রাজ্রের সর্বময় ক্ষমতার অধিপতি হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ বিন সালমান।
তিনি সৌদি আরবের তরুণদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়। কঠোর পরিশ্রম করতে জানেন এবং তরুণদেরকে ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করতে জানেন। সৌদি আরবে এখন ৭০ শতাংশ মানুষ ৩০ বছরের কম বয়সী। বেকারত্বের হার দ্রুত বাড়ছে এই দেশে। এই বৃহৎ বেকার তরুণ প্রজন্মকে তিনি অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখান। পাশাপাশি তিনি আরও একটি কাজ করেন, ইয়েমেনে হুতিদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে সৌদি যুবকদের অনুপ্রাণিত করেন।
সবমিলিয়ে এক রহস্যময় চরিত্রে পরিণত হয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। হার না মানা এবং আপোষহীন স্বভাবের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোহাম্মদ বিন সালমানই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাক্তি।