পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২১

পাকিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের পেশোয়ারের বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় এ পর্যন্ত ২১ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আজ (২০ জানুয়ারি) সকালে এ ঘটনা ঘটে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্দুকধারীদের হটাতে অভিযান শুরু করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সংবাদ : এএফপি ও ডন অনলাইন।

এএফপির খবরে জানানো হয়, পেশোয়ার থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চরসাদ্দা এলাকায় অবস্থিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেওয়া বিলাল ফাইজি বলেন, বন্দুকধালীদের গুলিতে ২১ জন মারা গেছেন। অপরদিকে পাকিস্তানের ডন অনলাইনের খবরে বেসরকারি সংস্থা ইদি ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, হামলার ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক সায়েদ ওয়াজির দাবি করেছেন, হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়টি যার নামে প্রতিষ্ঠিত, সেই বাচা খানের স্মরণ অনুষ্ঠানে জড়ো হয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানেই বন্দুকধারীরা হামলা চালায়। অস্ত্রধারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়াল টপকে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এ সময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। গোলাগুলি চলছে। অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তিন হাজারের মতো শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এসব শিক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন স্বজনেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে জড়ো হয়েছেন। তবে অভিযান পরিচালনাকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে সাংবাদিক ও অন্যদের ঘটনাস্থল থেকে দূরে থাকতে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।

ইদি ফাউন্ডেশনের এক স্বেচ্ছাসেবক দাবি করেছেন, তিনি নিজে অন্তত ১৫টি মরদেহ দেখেছেন। তিন থেকে চারজন নিরাপত্তা প্রহরী গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন অধ্যাপকও আছেন। উদ্ধারকারীরা বলছেন, অন্তত ৫০ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য আরশাদ আলী বলেন, বন্দুকধারীরা দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকেছে। চরসাদ্দা থেকে নির্বাচিত আইন প্রণেতার দাবি, গোলাগুলি চলছে। উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে সেনা সদস্যরাও। এক প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রের বরাত দিয়ে একজন উদ্ধার কর্মকর্তা ডন অনলাইনকে বলেছেন, ওই ছাত্র অন্তত ৬০-৭০ জনের মাথায় গুলি করতে দেখেছেন। তবে তাঁর এ দাবির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফজল রহিম মারওয়াত বলেন, বন্দুকধারীরা দক্ষিণ দিক থেকে হামলা চালাতে শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী-পুরুষ শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন। তবে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।

এর আগে ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পেশোয়ারে সামরিক বাহিনীর একটি বিদ্যালয়ে তালেবানের হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।favicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment