ইরাকে ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হলো মিস ওয়ার্ল্ড এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। সারা বিশ্বের কোটি কোটি চোখ নিবদ্ধ ছিল চীনের সানায়া শহরের দিকে। জমকালো সেই আয়োজনের খবর প্রচারও হয়েছে বেশ জোরে-শোরে। কিন্তু এদিন ইরাকের রাজধানী বাগদাদেও ‘মিস ইরাক বিউটি কনটেস্ট’ নামে ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছিল একই ধরনের একটি প্রতিযোগিতার। চীনের আয়োজনটি বৈশ্বিক হলেও, সেটি ছিল দেশীয়। তবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ওই দেশটির জন্য এই আয়োজনটির গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইরাকে সর্বশেষ এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল ১৯৭২ সালে। বর্তমান সময়ে ইরাককে বিশ্ববাসী চেনেন যুদ্ধ-বিধ্বস্ত একটি দেশ হিসেবে। দেশটিতে ৪৩ বছর পর প্রথম এই আয়োজনে ‘মিস ইরাক’ নির্বাচিত হয়েছেন কিরকুক প্রদেশ থেকে আসা শায়মা আবদেল রহমান। আয়োজনটি করা হয় রাজধানীর বাগদাদ হোটেলে।
খবরে বলা হয়, আলো-আঁধারি পরিবেশে অনুষ্ঠানটি ছিল অ্যালকোহলযুক্ত কোমল পানীয় মুক্ত। সাঁতারুদের মতো ছোট পোশাকও পরেননি প্রতিযোগীরা। হাই হিল এবং হাঁটুর নিচ পর্যন্ত পায়জামা জাতীয় পোশাক পরতে হয়েছিল তাঁদের। সেখানে কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে আয়োজকদের একজন হুমাম আল ওবায়দি বলেন, ‘কিছু মানুষ ভাবেন, আমরা বোধ হয় জীবনকে ভালোবাসি না।’
সেরা সুন্দরী (মিস ইরাক) হিসেবে ২০ বছর বয়সী শায়মা আবদেল রহমানের নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শক আর অতিথিরা হাত তালিতে ফেটে পড়েন। বিশেষ করে যুবকেরা এবং টাই-স্যুট পরা কমবয়সীরা সজোরে হাত তালি দেন চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে ।
বার্তা সংস্থাকে শায়মা আবদেল রহমান বলেন, ‘ইরাকের নাগরিকদের সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখে আমি খুব খুশি। এই আয়োজন ইরাকিদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।’ তবে এ সময় সেলফি শিকারিদের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় শায়মাকে। মিস ইরাক নির্বাচিত হওয়ার পর শায়মা আবদেল রহমান বলেন, তিনি ইরাকে শিক্ষার উন্নয়নে জন্য কাজ করতে চান। এ ছাড়া সংঘর্ষের কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ইরাকের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্যও কাজ করতে চান তিনি।
মানবাধিকার কর্মী হানা এডওয়ার্ড বলেন, ‘আমি মনে করি এটা বিস্ময়কর ঘটনা। এটা অন্যকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার মতো ব্যাপার।’
কনটেস্টে প্রথম রানার আপ হয়েছেন ফারাহ নাসের। সুজান আমের হয়েছেন দ্বিতীয় রানার আপ।