সফল হতে চাই সততা ও স্বপ্ন : সুফী মিজান (ভিডিও)
- লিডারশিপ ডেস্ক
আলহাজ সুফী মো. মিজানুর রহমান। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান। গত ৩০ মার্চ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আমন্ত্রণে তরুণ উদ্যোক্তাদের শুনিয়েছেন তাঁর শিল্পপতি হয়ে ওঠার সংগ্রামের গল্প।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার দেশের শিল্প খাতের মোট ১২ জন উদ্যোক্তাকে নিয়ে আয়োজন করেছে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়নবিষয়ক ডিআইইউ ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া বক্তৃতামালা’। ১২ পর্বের লোকবক্তৃতামালার প্রথম পর্বের সেই অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে সুফী মিজান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর কয়েকজন বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে ১ হাজার ৪৮৩ টাকা নিয়ে আমি ব্যাবসা শুরু করেছিলাম। এখন পিএইচপি গ্রুপের বার্ষিক আয় ২০ বিলিয়ন টাকা।’
সুফী মিজানুর রহমানের বক্তব্যের ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন
অনুষ্ঠানে এক তরুণ উদ্যোক্তা তাঁকে উদ্দেশ্য করে বলেন-‘শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে প্রাইভেট কার তৈরি করতে যাচ্ছে পিএইচপি…।’ উত্তরে সুফী মিজানুর রহমান বলেন, ‘একটি গাড়ি তৈরি করতে ৮ হাজার ৩৯২টি যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হয়। এই যন্ত্রাংশগুলো আলাদা আলাদা কাখানায় উৎপাদিত হয়। তোমরা উদ্যেগ নাও এইসব যন্ত্রাংশের কারখানা তৈরি করার। আমি চাই, ৮ হাজার ৩৯২ জন উদ্যেক্তা তৈরি হোক।’
সুফি মিজান আরও বলেন, ‘জীবনে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে সততা এবং অদম্য স্বপ্ন থাকতে হবে।’ জীবনে চলার পথে নানা ধরনের ভুল ভ্রান্তি থাকবে এবং ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে বলে জানান সফল এই ব্যবসায়ী।
অনুষ্ঠান শেষে কথা হয় কয়েকজন উদ্যেক্তার সঙ্গে। আবু রফিক নামের একজন বলেন, ‘আমি ছোট একটা ব্যাবসা করি। আজকের বক্তৃতা অনুষ্ঠানে এসে অনেক কিছু জানলাম। আমার মনোবল অনেক বেড়ে গেছে।’
প্রায় অনুরূপ অনুভূতি ব্যাক্ত করেন মোহাম্মদপুর থেকে আসা মীর মহীব চৌধুরী-‘পিএইচপি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। তার চেয়ারম্যানের মুখে সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প শুনে অনেক অনুপ্রাণিত হয়েছি।’
‘উদ্যেক্তা উন্নয়ন’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহাবুবুল ইসলাম ও ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের পরিচালক মো. আবু তাহের।
আমন্ত্রিত এই ১২ জন সফল উদ্যোক্তার বক্তৃতাগুলো নিয়ে পরবর্তী সময়ে একটি বই প্রকাশিত হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ব্যবসা, অথনীতি ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য রেফারেন্স বই হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এই ১২ জন উদ্যোক্তার ওপর ডিআইইউ থেকে ১২টি প্রামাণ্যচিত্রও নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ডিআইইউ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই লোকবক্তৃতামালা নতুন প্রজন্মের সৎ, শিক্ষিত ও মেধাবী উদ্যোক্তাদের সাহস, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য ও অনুপ্রাণিত করবে। উদ্যোক্তা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার সম্ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গতিতে এগোতে পারছে না বলে যে ধারণা চালু রয়েছে, এ লোকবক্তৃতামালা সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।