গুগল কনসালট্যান্ট বাংলাদেশের মাহফুজা

গুগল কনসালট্যান্ট বাংলাদেশের মাহফুজা

  • লিডারশিপ ডেস্ক

মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি তেনেগা ন্যাশনালের (ইউনিটেন) ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করে গুগলে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের মাহফুজা কানান মারিয়াম। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমই সাফল্যের মূল বলে জানালেন তিনি।

গত ২০ আগস্ট ইউনিটেনের ১৯তম সমাবর্তনে অংশ নেওয়া এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর একজন মাহফুজা কানান। ইয়াইয়াসান খাজানাহ ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছেন তিনি। বিদেশে পড়াশোনা করে অনেক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি জেনেছেন বহু সংস্কৃতি ও ভাষা। মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শেষ করতে পেরে গর্ববোধ করেন মাহফুজা।

১৯তম সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় মাহফুজা কানান বলেন, দেখতে দেখতে মালয়েশিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর কাটিয়ে নিজেকে খুব সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। ‘বিশ্বের ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতিতে সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। সত্যি খুব ভালো লাগছে। আজ আমি গর্বিত যে, এত বড় এক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আমি ছাত্রী ছিলাম। 153502_1

পড়াশোনারত অবস্থায় মাহফুজা বিশ্ববিখ্যাত গুগল মালয়েশিয়া অফিসে বাংলাদেশ ও নেপালের কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ পান। বর্তমানে তিনি কুয়ালালামপুরে কেএল সেন্ট্রাল গুগল অফিসে কর্মরত। গুগলের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্যগুলো বিশ্বের দরবারে অনায়াসে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন মাহফুজা। মাহফুজার মতে, মেধাবীদের বিশ্বের সব জায়গাতেই চাহিদা রয়েছে। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন, জীবনে কিছু করতে হলে নিজের একান্ত চেষ্টা থাকতে হবে।

মাহফুজা নিজে নিজে চেষ্টা ও পরিশ্রম করাকে বেশি পছন্দ করেন। তাই তো জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। এই অল্প বয়সে তিনি বাবা, মা, শিক্ষক ও সহপাঠীদের অনেক সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছেন। এই ভালোবাসা নিয়ে তিনি আরো পড়াশোনা করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে চান। জানতে ও শিখতে চান আরো অনেক কিছু। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, তা মাতৃভূমির কাজে লাগাতে চান।

২০১১ সালে মালয়েশিয়ার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় তেনাগা ন্যাশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মাহফুজা কানান। গাজীপুরের কোনাবাড়ীর হাজি মোহাম্মদ মেজবাউদ্দিন এবং হাসিনা বেগমের মেয়ে মাহফুজা ২০০৮ সালে এমইএইচ আরিফ কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ এবং ২০১০ সালে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ নিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করেন। সেই সঙ্গে তিনি স্কলারশিপও পান। favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment