বিয়ে থামাতে পারেনি সালমাকে

বিয়ে থামাতে পারেনি সালমাকে

  • লিডারশিপ ডেস্ক

এইচএসসি পরীক্ষার পর তাঁর বিয়ে হয়ে গেল। তার পরও সালমা আক্তারের ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছাটা মরেনি। আর শ্বশুরবাড়ির সবাইও তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। শ্বশুর নিজেই মেডিক্যালের ভর্তি ফরম নিয়ে এসেছেন। তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে লেখাপড়া করেছেন। তখন তাঁর অনেক নেপালি-কাশ্মীরি বন্ধু ছিল। তাঁদের কাছ থেকে তিনি সে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার গল্প শুনেছেন। যেমন কাশ্মীরের বন্ধু হীরা গুল বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের তুলনায় তোমাদের মেডিকেলের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত। আগে মেয়েরা তেমন ডাক্তার হতো না। এখন নানা দেশ থেকে পড়ে দেশে ফিরে গিয়ে তারা মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।’

লেখাপড়া শেষে ২০১৫ সালে সালমা আক্তার পুরোদস্তুর ডাক্তার হয়ে গেলেন। আর এ জন্য বড় ভাইয়ের অবদানের কথা স্বীকার করলেন ডা. সালমা, ‘ভাইয়া নিজেও ডাক্তার। তিনি চাইতেন—আমিও ডাক্তার হই। সে জন্য লেখাপড়া করতে উৎসাহ জোগাতেন। বাবা নিজে শিক্ষক ছিলেন বলে তিনিও লেখাপড়ার মূল্য বুঝতেন। আর আমার শ্বশুরসহ অন্য সবার উৎসাহের ফলেই আমার আজকের এ অবস্থান।’

তিনি এখন খালেকুন্নেসা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে আছেন। পাশাপাশি এআইইউবি (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ) থেকে এমপিএইচ (মাস্টার্স অব পাবলিক হেলথ) ডিগ্রি নিচ্ছেন। ভবিষ্যতে তিনি একজন ভালো চিকিৎসক হতে চান।

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment