টপ টেন কনটেন্ট নির্মাতা

টপ টেন কনটেন্ট নির্মাতা

  • লিডারশিপ ডেস্ক

এটুআই প্রোগ্রামের মডেল কনটেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক, যার উদ্দেশ্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টগুলোকে দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দেওয়া। এ সকল কনটেন্ট নির্মাণকারী শিক্ষকদের মধ্যে ৪১ জন শিক্ষক অসাধারণ কনটেন্ট তৈরিতে অসামান্য অবদান রাখায় পুরস্কার পেয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৫ জন শিক্ষককে দেওয়া হয়েছে ‘সেরা কনটেন্ট নির্মাতা’ পুরস্কার। সেখান থেকে সেরা ১০ নিয়ে আমাদের আয়োজন।

মো. মঞ্জুর-ই-এলাহী

সহকারী অধ্যাপক

আইসিটি, নওয়াবেঁকী মহাবিদ্যালয় শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই (একসেস টু ইনফরমেশন)-এর এই কার্যক্রম সম্পর্কে প্রথম জানতে পারি ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে, যখন আমি টিটিসি খুলনা থেকে ইউজ অব আইসিটি ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকায় শুধু পেডাগজির জ্ঞান অর্জনের ফলে সহজেই এবং দ্রুততার সঙ্গে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে পারায় সেখানকার শিক্ষকদের অনুপ্রেরণায় আমি প্রথম মাল্টিমিডিয়া কন্টেন প্রতিযোগিতা-২০১৩-তে অংশ গ্রহণ করি। সেবার আমি আমার জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্কোর করে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করলেও সেরা দশে জায়গা করে নিতে পারিনি। একবছর বাদে পুনরায় মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রতিযোগিতা-২০১৫-এর ঘোষণা এলে আবারও অংশগ্রহণ করি এবং যথারীতি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম স্কোর করে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করার যোগ্যতা দেখাতে সক্ষম হই, চলে আসে সেই চূড়ান্ত লড়াইয়ের দিন। প্রতিযোগিতা শেষে সবার উপস্থাপনা দেখে আমার বিশ্বাস জন্মে যায়, এবার সেরা দশে জায়গা করে নেওয়া থেকে আমাকে কেউ আটকাতে পারবে না। আমার বিশ্বাস ছিল, সেরা দশে আমার জায়গা থাকবে কিন্তু প্রথম অবস্থানের কথা আমি ভাবিনি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি অন্যরকম ভালোলাগা; এটি শুধু উপলব্ধি করা যায়, বর্ণনা নয়।

মো. রাসেদুজ্জামান রাসেল

সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার)

জগন্নাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় কুমারখালী, কুষ্টিয়া

নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে শিক্ষকতা জীবনের ১৪টি বছর। বড় স্বপ্ন ছিল, আমি জাতীয় পর্যায়ে কিছু একটা করব। আজ আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমার স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা হলো আমার প্রাণপ্রিয় শিক্ষার্থীরা। হতদরিদ্র গ্রামের স্কুলের শিক্ষক আমি, আর শিক্ষার্থীরা খুবই দরিদ্র। ওরা আমার সাহস জুগিয়েছে, উত্সাহ দিয়েছে, বিদ্যালয়কে করেছে ডিজিটাল বিদ্যালয়, আমাকে করেছে একজন সফল ডিজিটাল শিক্ষক। সত্যিই আজ আমি আনন্দিত, উল্লাসিত, উত্ফুল্ল; কারণ আজ আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। সর্বোপরি আমি কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি, আমার এই স্বপ্ন পূরণে যারা সহযোগিতা করেছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা এত বড় একটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমাকে এত বড় সম্মানে সম্মানিত ও পুরস্কৃত করেছেন। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই যেন আমার অর্জিত সকল তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান শিক্ষার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে কাজে লাগাতে সক্ষম হই।

পল্লব কুমার ভৌমিক

সহকারী প্রধান শিক্ষক

শান্তিপুর উচচ বিদ্যালয়, খিলগাঁও, ঢাকা

২০১৪ সালে যখন প্রথম শিক্ষক সম্মেলন হয়েছিল, তখন আমি অংশগ্রহণ করতে পারেনি বলে মনে কষ্ট ছিল। আর তখন থেকেই কনটেন্ট তৈরির কাজ মনোযোগ দিয়ে শুরু করি, যেন পরবর্তী সম্মেলনে যোগ দিতে পারি। এরই ধারাবাহিকতায় শিক্ষক বাতায়নে সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতা হই। এর কিছুদিন পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি কল আসে, ‘মডেল কনটেন্ট তৈরির জন্য আপনাকে মনোনীত করা হলো।’ ২০১৫ সালের কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান লাভ করি। পরম করুণাময় আমার পেশাগত জীবনে এ এক বড় প্রাপ্তি যোগ করে দিয়েছেন। যাদের প্রেরণায় আমার এই প্রাপ্তি, তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

মো. আব্দুল বাতেন

সহকারী শিক্ষক

বগুড়া ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুল, বগুড়া

একবিংশ শতাব্দীতে উন্নত দেশগুলো যখন প্রযুক্তিতে আকাশচুম্বী সাফল্য অর্জন করে বিশ্বে হইচই ফেলে দিচ্ছে, আমরা তখন এ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যস্ত। প্রযুক্তির জ্ঞানার্জনের মানসিকতা নিয়ে ২০১২ সালে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রশিক্ষণ নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পারায় সে কী আনন্দ হয়েছিল! এরপর ২০১৩ সালের শুরুতে ‘শিক্ষক বাতায়ন’-এর সদস্য হয়ে প্রবেশ করি নতুন জগতে! খুঁজে পাই কনটেন্ট ভাণ্ডার! সেখান থেকে মানসম্মত কনটেন্ট ডাউনলোড করে পেডাগজি অনুসরণ করে নতুন কনটেন্ট তৈরি করে আপলোড করতে থাকি। অবশেষে বছরের মাঝামাঝিতে এবং শেষে নির্বাচিত হই সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতা হিসেবে। সেই সাফল্যই আমাকে পৌঁছে দিয়েছে মডেল কনটেন্ট ডেভেলপারের মর্যাদায়। শিক্ষকতা পেশার সর্বোচ্চ প্রাপ্তি ‘দেশ সেরা শিক্ষক’ হওয়ার জন্য আমাকে দুইবার ব্যর্থ হতে হয়েছিল এবং সাফল্যের খুব কাছে গিয়ে। অর্থাত্ মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় ২০১৩ সালে বিভাগীয় এবং ২০১৪ সালে জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে ব্যর্থ হই, কিন্তু হাল ছাড়িনি। দেখতে থাকি একের পর এক ভালো মানের কনটেন্ট। রপ্ত করতে থাকি কনটেন্ট তৈরির নতুন নতুন পদ্ধতি ও কলাকৌশল। অবশেষে ২০১৫ সালে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় ‘সেরা দশে’ আমি হই চতুর্থ। সেখানে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলার একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করার গৌরব অর্জন করি। আজ আমি আনন্দিত ও উদ্বেলিত।

শিমুল রানী দাস

সহকারী শিক্ষক

ওছখালী আলীয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাতিয়া, নোয়াখালী

কর্মজীবনে পদার্পণ করি ১৯৯৬ সালে। ২০১২ সালে সুযোগ এল আইসিটি প্রশিক্ষণ গ্রহণের। কম্পিউটারের হাতেখড়ি পেলাম এই প্রশিক্ষণেই। শুরু হয়ে গেল অবসর সময়ে কনটেন্ট তৈরি ও পোর্টালে আপলোড। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে সম্মুখীন হই নানাবিধ সমস্যার। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় বিদ্যুত্, ইন্টারনেট এবং প্রতিকূল যোগাযোগব্যবস্থা সঙ্গী হয়েই থাকল। তবুও নিজের তৈরি কনটেন্ট বিশিষ্ট জনদের মতামত আমাকে উত্সাহিত করে এগিয়ে যেতে। ২০১৩ সালে উদ্বোধন হয় শিক্ষক বাতায়ন পোর্টাল। বেশ কয়েকবার সেরা শিক্ষক হই। যার সূত্রধরে ২০১৪ সালে কক্সবাজার শিক্ষক সম্মেলনে পুরস্কৃত হই। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতে একটু একটু করে নিজেকে প্রস্তুত করে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি ২০১৫ সালে। জেলা থেকে বিভাগ, বিভাগ থেকে জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশে উত্তীর্ণ হই। যার পুরস্কার গ্রহণ করি বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০১৬ উপলক্ষে এটুআই কর্তৃক কক্সবাজারে আয়োজিত শিক্ষক সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মহোদয়ের হাত থেকে। সপ্তাহের সেরা হিসেবেও আরেকবার পুরস্কৃত হই এই সম্মেলনে। এভাবেই ডিজিটাল কনটেন্ট বৈচিত্র্য দেয় আমার কর্মজীবনে।

মো. ইসমাইল

সহকারী শিক্ষক

আলীয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা

প্রযুক্তির প্রতি দুর্বলতা আমার স্বভাবজাত। সে কারণে প্রযুক্তিকে ভালোবাসি, প্রযুক্তিপ্রেমীদের ভালোবাসি এবং সবসময় চেষ্টা করি প্রযুক্তি নিয়ে নিজের চিন্তা-চেতনা ও প্রচেষ্টাকে সক্রিয় রাখতে। ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির প্রতি আগ্রহটাও একইভাবে আমার মধ্যে কাজ করে। আমার প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে হিতাকাঙ্ক্ষীদের প্রেরণা ও উত্সাহ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাছাড়া আমার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারাও আমায় এ ব্যাপারে উত্সাহ ও সুযোগ দিয়ে কৃতার্থ করেছেন। আমি নিজের প্রচেষ্টায় আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে উপযুক্ত করে তুলি। আমার ভাবতে ভালো লাগে যে, বর্তমানে আমার বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কনটেন্ট তৈরি করতে সক্ষম। একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষা পদ্ধতির বৃহত্ কর্মশালার একটি অংশ হিসেবে কাজ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকতে চাই সারা জীবন। জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০-এর একজন হওয়ার সুবাদে আমাকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সুধীজন যে মূল্যায়ন করেছেন, আমি তার জন্য সবার কাছে কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত এটুআই ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে থাকব চিরদিন। আমি এটুআইয়ের সঙ্গে থাকতে চাই।

জয় প্রকাশ দে

সহকারী অধ্যাপক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগ

চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম

২০১৩ সালে চট্টগ্রাম টিটিসাইট মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর কলেজের ক্লাসগুলোর জন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করা শুরু করি এবং ক্লাসে সেগুলোর ব্যবহার শুরু করি, আর এর মাধ্যমে আমার দক্ষতা বাড়তে থাকে। ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট তৈরি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি, তবে তখন শুধু বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়েছি। আবার ২০১৫ সালের প্রতিযোগিতায় পুনরায় অংশগ্রহণ করি এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা দশে জায়গা করে নিই। তবে আমি মনে করি, এ অর্জন তখনই সফল হবে যদি ক্লাসরুমে আমার অর্জিত জ্ঞানটুকুর সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে পারি। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।

চরিত্রবান সমাজপতি

সহকারী শিক্ষক ভৌত বিজ্ঞান),

জৈন্তাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,  জৈন্তাপুর, সিলেট

আইসিটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করি এবং শিক্ষক বাতায়নের সদস্য হই। শিক্ষক বাতায়নের প্রতি সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতাদের ছবি দেখে নিজেকে তাদের স্থানে নিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছা জাগে। ৩০ অক্টোবর ২০১৪ নিজের ছবি যখন সপ্তাহের সেরা কনটেন্ট নির্মাতাদের স্থানে দেখি, তখন আনন্দে আত্মহারা হলাম। ২০১৫ সালের মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট প্রতিযোগিতার জন্য শিক্ষক বাতায়নে রেজিস্ট্রেশন করি। জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান, বিভাগীয় পর্যায়ে সিলেট বিভাগ থেকে একমাত্র জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার জন্য উত্তীর্ণ হই। নভেম্বরের ৩-৪ তারিখে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিই, ফলাফল অষ্টম স্থান। আমি জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ী কথাটি ভাবতেই চোখে আনন্দঅশ্রু। এটা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমাকে এই সম্মাননা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

হুমায়ুন কবীর

সহকারী শিক্ষক (আইসিটি)

হাঁসাড়াকালী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ

শিক্ষক হিসেবে মেধার দৌড়ে এগিয়ে থাকতে হলে আইসিটি-নির্ভর আধুনিক শিক্ষা পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। শ্রেণিকক্ষে টেকসই পাঠদানের জন্য ডিজিটাল কনটেন্ট তেমনই একটি নিয়ামক, যার সফল ব্যবহার পাঠদানকে সহজবোধ্য, উপভোগ্য ও ফলপ্রসূ করে তোলে। ২০১৫ সালে বেশ আগ্রহ নিয়ে প্রথম রাউন্ডে অংশগ্রহণ করি। যাচাই বাছাই শেষে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় (দ্বিতীয় রাউন্ড) অংশগ্রহণ করে সফল হই এবং বিভাগীয় পর্যায়ে (তৃতীয় রাউন্ডে) অংশগ্রহণকারী। বিষয় নির্বাচনে সঠিক সিদ্ধান্ত, কৌশলগত উপস্থাপনায় এবং সফল ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হই। ওই বছরেরই ৩ এবং ৪ নভেম্বর সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে মনোনীত ৩৪ জন শিক্ষকের সঙ্গে আমিও জাতীয়ভাবে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে নবম স্থান অধিকার করি।

শব্বরী দে

প্রভাষক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ

রাউজান কলেজ, রাউজান, চট্টগ্রাম

জিটাল তথা তথ্যপ্রযুক্তি আমার কাছে সর্বদাই অব্যক্ত আর অলঙ্ঘনীয় বিষয়। ভুলত্রুটি-প্রচেষ্টা-নির্ঘুম রাতের চর্চা-সাধনার ফসল হিসেবে প্রযুক্তির মহাসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে একটা একটা নুড়ি খুঁজে যাচ্ছি। শ্রেষ্ঠত্বের প্রশংসা যখন পাই, তখন সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ না করে অবাক বিস্ময়ে পলকবিহীন অবস্থায় মৌনতা অবলম্বন করি। একজন শিক্ষক হিসেবে আমার নব প্রজন্মের শিক্ষার্থী তথা দেশের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা যেন আরও কোটি গুণ বেড়ে গেল। আমার লব্ধ জ্ঞান আর দক্ষতা দিয়ে আরও উন্নতমানের কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধুনিক শিক্ষাদানে ভূমিকা রাখতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব। আমার এই সম্মান প্রাপ্তি তখনই সার্থক হবে, যখন আমার কর্ম দেশের সার্বিক কল্যাণের অংশ হতে পারবে। আমার সূক্ষ্ম মনের স্থূল অনুভূতি প্রকাশের ভাষা সত্যিই হারিয়ে ফেলেছি। সবাইকে ধন্যবাদ ও আশীর্বাদ প্রার্থী।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment