একজন সৃজনশীল ডিজাইনার

একজন সৃজনশীল ডিজাইনার

  • লিডারশিপ ডেস্ক

ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে পড়তে হলে বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা নিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকদেরও বিষয়টি জানা জরুরি। আর এই বিষয়ে পড়তে আসার ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীকে বুঝতে হবে, তার ক্যারিয়ার কোনদিকে যাচ্ছে। ফ্যাশন ডিজাইন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এসব মতামত দেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির (এনআইএফটি) কোর্স ডিরেক্টর মো. জাহাঙ্গীর করিম। এই ফ্যাশন ডিজাইনারের জন্ম ঢাকার মোহাম্মদপুরে। তার বাবা ছিলেন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার, মামা ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম টেক্সটাইল ডিরেক্টরদের মধ্যে একজন। পরিবারের বেশ কয়েকজনই পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকি করতেন। পরিকল্পনা করে কাজ করার অভ্যাস ছিল তার।

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর কলকাতায় ঘুরতে গিয়ে সেখানে খোঁজ পান কলকাতা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির। পরবর্তীতে সেখানেই শুরু করেন পড়াশোনা। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেন সেখান থেকে। একই ইনস্টিটিউশনে নানা বিষয়ে স্কলারশিপও পান। এর পর স্পেশাল ডিপ্লোমা করেন টেক্সটাইল আর্ট এন্ড সার্ফেস ডিজাইন টেকনিকস-এর উপর।

পড়াশোনা শেষ করে ২০০১ সালে দেশে এসে  ইন্সপায়ারেশন ইনস্টিটিউট অব ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজিতে শিক্ষকতা শুরু করেন। আর ঢাকার বিভিন্ন গ্যালারিতে ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে নানা প্রদর্শনী দেখে নিজেও অনুপ্রাণিত হতে থাকেন। ২০০২ থেকে শিক্ষকতার পাশাপাশি শুরু করেন নিজের ডিজাইন নিয়ে কাজ। সেখান থেকে ২০১২ সালে এনআইএফটিতে ফ্যাশন টেকনোলজি বিষয়ে কোর্স ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন।

ফ্যাশন ডিজাইনে এনআইএফটি সম্পর্কে জাহাঙ্গীর করিম জানান, এ সময়ের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে পোশাক সম্পর্কে যেমন সচেতনতা রয়েছে, তেমনি ফ্যাশন ডিজাইনে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহও বাড়ছে। ৭৪ ওয়ারলেস গেট, মহাখালীতে অবস্থিত এনআইএফটি ফ্যাশন ডিজাইনে বিএসসি অনার্স ইন ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড টেকনোলজি, নিটওয়্যার ম্যানুফেকচার অ্যান্ড টেকনোলজি, টেক্সটাইল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এমবিএ ইন অ্যাপারেল মার্চেন্ডাইজিং, অ্যাপারেল টেক্সটাইল বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা চালু করেছে। এছাড়া ফ্যাশন ডিজাইন এবং মার্চেন্ডাইজিংয়ে ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স রয়েছে। আরও জানতে ০১৭৩১২২০০৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

দিন দিন কদর বাড়ছে ফ্যাশন ডিজাইনারদের। কারণ দেশে বেড়ে চলেছে গার্মেন্টস, বুটিক হাউস, টেক্সটাইলস মিলস ও ফ্যাশন হাউসের সংখ্যা। সেই সঙ্গে তাল মিলিয়ে ফ্যাশন ডিজাইনারদের চাহিদাও বাড়ছে। এদেশে ফ্যাশন ডিজাইনারদের ক্যারিয়ার খুবই উজ্জ্বল। আবার দেশের বাইরে রয়েছে এই পেশাদারদের প্রচুর চাহিদা। দেশের গার্মেন্টস শিল্পে দক্ষ জনশক্তির অভাব রয়েছে, ফ্যাশন ডিজাইনে কোর্স করা ব্যক্তিরা কিছুটা হলেও সে ঘাটতি পূরণ করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের ফ্যাশন ডিজাইন খাতে সফলতার সঙ্গে নিজের জায়গা করে নেওয়া এবং পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে নতুনদের দক্ষ করে তোলার জন্য কাজ করছেন ফ্যাশন ডিজাইন মো. জাহাঙ্গীর করিম। শিক্ষকতাকে সবসময় ধরে রাখতে চান বলেও জানান তিনি।favicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment