শীতের ফ্যাশনে চাদর

শীতের ফ্যাশনে চাদর

রবিউল কমল: চারদিকে এখন শীতের হাওয়া। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বিচিত্র এক রুপ নিয়ে হাজির হয়েছে শীতকাল। হিমহিম শীতের সকালে গায়ে চাদর জড়িয়ে রাখার মজাই আলাদা! চাদর দিয়ে যত সহজে শীত নিবারণ করা যায় অন্য কোনো পোষাকে হয়তো এতটা সহজ হয় না। তবে দিন বদলে গেছে, তাই চাদর এখন শুধুমাত্র শীত নিবারণের জন্য ব্যবহৃত হয় না। এটি হয়ে উঠেছে ফ্যাশানেরও একটি অনুসঙ্গ। সময়ের প্রয়োজনে তরুণ প্রজন্মের কাছে শাল বা চাদরের কদর বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশী।


ফ্যাশনে বৈচিত্র্যময় চাদর:

আমাদের দেশে বিভিন্ন ডিজাইন ও মোটিফের চাদর পাওয়া যায়। নজরকাড়া এসব চাদরের বুনন আর ডিজাইন খুব চমৎকার । ফ্যাশন সচেতন মেয়েদের পছন্দের তালিকায় এসব চাদর সবকিছুর উপরে, আর তাই তাদের প্রথম পছন্দ খাদি চাদর। তবে অনেকে আবার শীতের বুড়িকে বশ করতে খদ্দর বা মোটা উলের চাদর বেছে নেন।

সিল্ক, খাদি, পশমি সুতা, মোটা সুতি ইত্যাদি কাপড়ের উপর নির্মিত হচ্ছে আমাদের দেশের ফ্যাশন হাউসগুলোর শীতের চাদর। বিভিন্ন মোটিফের চাদরে প্রাধান্য পাচ্ছে দেশিয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। থাকছে নানা রকম সেলাই ও নকশার কাজ । এছাড়াও জরি, পুঁতি, চুমকি ও পাথরের করা চাদর ও রয়েছে তরুণীদের চাহিদার তালিকায়। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের অনেক ফ্যাশন হাউস সংগ্রহে রেখেছে বিখ্যাত কবিদের কবিতার চরণ, চিত্রশিল্পীদের চিত্রকর্মের নকশা করা চাদর। এসব চাদরের ক্যানভাসে ফুটে উঠেছে আবহমান গ্রামবাংলার দৃশ্য ও স্লোগান।

তবে দেশি চাদর ছাড়াও বিদেশি চাদরের চাহিদা রয়েছে আমাদের দেশে। বিশেষ করে কাশ্মীরি পশমিনা চাদর জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তবে আমাদের দেশেও এখন তৈরি হচ্ছে পশমিনা চাদর। এছাড়াও লুদিয়ানা, জয়পুরি, চায়নিজ, বার্মিজ ও ইরানি চাদর হতে পারে শীতের অন্যতম ফ্যাশন। তবে আপনি চাইলে একরঙা চাদরে নিজের ইচ্ছেমতো নকশা করে ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে শীতের ফ্যাশনে আপনার ব্যাক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলতে পারবেন।

বর্তমানে চাদরের ফ্যাশনে এগিয়ে আছে তরুণ প্রজন্ম। রঙবেরঙের চাদর প্রয়োজনের পাশাপাশি হয়ে গেছে ফ্যাশনের একটি অংশ। তাই শুধু মেয়েদের জন্য নয় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছেলেদের চাদরেও এসেছে বৈচিত্র্য। দেশি খাদি ও আদিবাসী শাল বেশ জনপ্রিয় ছেলেদের কাছে। টি-শার্ট, ফতুয়া কিংবা পাঞ্জাবির সাথে মিলিয়ে পড়তে পারেন নজরকাড়া এসব চাদর।

চাদরের খোঁজখবর:

আমাদের দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাবেন পছন্দসই নানা রকম চাদর। রঙ, দেশাল, নিত্য উপহার, আড়ং, বাংলার মেলাসহ অন্যান্য হাউসগুলোতে মিলবে বাহারি ডিজাইনের এসব চাদর। এছাড়াও ঢাকার নিউমার্কেট, গাউসিয়া, বঙ্গবাজার থেকেও কিনতে পারেন । সাধারণ মানের শালের দাম পড়বে ৪’শ থেকে ১৫০০ টাকা। ফ্যাশন হাউসগুলোয় কটন ও খদ্দের শালের দাম পড়বে ৫’শ থেকে ১৫০০ টাকা। কাশ্মীরি শাল মিলবে ৬’শ থেকে ৫ হাজার টাকায়।

রচনা: রবিউল কমল।
মডেল: এলিকা দাস।
ফটোগ্রাফি: এস এম রাসেল। favicon5

Sharing is caring!

Leave a Comment