নবীন প্রাণে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস
সজীব হোসাইন, রংপুর : বিশ্ববিদ্যালয় মানেই যেন বন্ধু আড্ডা আর হই হুল্লোড়। ব্যতিক্রম নয় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন কাঁপছে নবীন শিক্ষার্থীদের তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে।
গত মঙ্গলবার (১ মার্চ) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকটি বিভাগে শুরু হয়েছে অরিয়েন্টেশন ক্লাস। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নবীনদের বরণ করে নেওয়া হবে আগামীকাল রোববার (৬ মার্চ)।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
তাই এখন কেবল ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার পালা। ক্যাম্পাসের চিরচেনা কৃষ্ণচূড়া রোড, বিজয় সড়ক, স্বাধীনতা স্মারক, ক্যাফেটেরিয়া, বোটানিক্যাল গার্ডেন, বকুলতলা রোড, ছাত্র ও ছাত্রী হলের চারপাশসহ পুরো ক্যাম্পাস নবীন-প্রবীণদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
বন্ধুদের সাথে কেউ কেউ আবার যাচ্ছেন অ্যাকাডেমিক ভবনে। দেখে নিচ্ছেন নিজ নিজ বিভাগ। বাদ পড়ছে না কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এবং কেন্দ্রীয় সাইবার ক্যাফেও। বন্ধুদের নিয়ে আবাসিক হলগুলো দেখে নিতেও যেন তর সইছে না নবীনদের।
নবীন শিক্ষার্থী শান্ত, রাজ, লতিফ, তাহসান, রতন, স্নিগ্ধা লাবনী, নাজমুল, কাশফিয়া ক্যাম্পাস অনুভূতি সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মানেই অন্যরকম এক অনুভূতি, অন্যরকম এক পাওয়া। এমন সুন্দর মনোরম এক ক্যাম্পাসে পড়ার সুযোগ পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্নে মাত্র ৩০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করলেও আজ প্রায় নয় হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে এ বিদ্যাপীঠটিতে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রার পর হাঁটি হাঁটি পা পা করে অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬টি অনুষদের অধীনে ২১টি বিভাগ রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষক সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতিতে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।