সাকার আইনজীবী জামিনে মুক্ত
নিউজ ডেস্ক : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট।
আজ (০৭ ডিসেম্বর) তার একটি আপিল আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
ফখরুলের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির।
আদেশের পর জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘ব্যারিস্টার ফখরুলের বিরুদ্ধে অন্য কোনো মামলা নেই। তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই।’ অন্যদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান জানান, তারা এর বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
তবে রায়ের আগেই সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তারা রায়ের ‘খসড়া কপি’ও সংবাদকর্মীদের দেখান।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) একেএম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে ২ অক্টোবর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় একটি জিডি করেন। পরে ৪ অক্টোবর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা করেন।
গত বছরের ২৮ অগাস্ট ডিবির পরিদর্শক মো. শাহজাহান এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২৫ জনকে সাক্ষী করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী নয়ন ও সাঁটলিপিকার ফারুক হোসেনকে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ নভেম্বর সেগুন বাগিচায় পাইওনিয়ার রোডের চেম্বার থেকে আইনজীবী ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবীর এক সহকারী বড় অঙ্কের অর্থের লোভ দেখিয়ে ট্রাইবুনালের দুই কর্মীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের খসড়ার অংশবিশেষ বের করেন। ওই অংশটিই রায়ের দিন আদালতে সাংবাদিকদের দেখানো হয়।
আসামি নয়ন ও ফারুক ইতোমধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ব্যারিস্টার ফখরুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন রয়েছে ১৪ জানুয়ারি।
ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায় আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে গত ২১ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।