বিদেশে বিরল কীর্তি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর
নিউজ ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি এড়াতে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. শুভ জিৎ দত্তের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ কোরিয়ার সোহাং বিশ্ববিদ্যালয় ও স্টকহোম ইউনিভার্সিটি এবং সুইডেনের একদল গবেষক একটি নতুন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষক আবিষ্কার করেছেন। এই কার্বন ডাই অক্সাইড খুব কার্যকরভাবে ফ্লু গ্যাস ও বায়ুমণ্ডল থেকে ডিহাইড্রেশন স্টেপ ব্যতীত কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করতে পারে।
ড. শুভ জিৎ দত্তের নেতৃত্বাধীন এ আবিষ্কার ‘সাইন্স’ ম্যাগাজিনসহ ইউএস ডিপার্টমেন্ট এনার্জি, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো ৪০টিরও বেশি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি ন্যাশনাল জিয়োগ্রাফিক রিপোর্টে বলা হয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ চরম ঝুঁকিতে আছে। এর আগে জাতিসংঘও বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে সতর্ক করে। এছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাপলক্রাফটের এক প্রতিবেদনেও সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় রেখেছে বাংলাদেশের নাম।
২০১১ সালে জাতিসংঘের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার বার্ষিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবীর ১৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের ঝুঁকি এখন সবচেয়ে বেশি। বৈশ্বিক এই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যেখানে মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ মানুষ প্রায় প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এক জরিপে বলা হয়, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভারত, রাশিয়া ও জাপান সবচেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুমণ্ডলে নির্গমন করে থাকে। কারণ তাদের শিল্প, কল-কারখানা চালাতে প্রচুর এনার্জির প্রয়োজন হয়, যা আসে সস্তা কয়লা পোড়ানো থেকে। কয়লা পোড়ালে ফ্লু গ্যাস উৎপন্ন হয়। যার প্রধান উপাদান হলো নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড আর জলীয় বাষ্প।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান এ ঝুঁকি নিরোসনে বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. শুভ জিৎ দত্তের নেতৃত্বাধীন এ আবিষ্কার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।