গণতন্ত্র কোথায়? প্রশ্ন এরশাদের

গণতন্ত্র কোথায়? প্রশ্ন এরশাদের

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য ক্ষমতা ছেড়েছিলাম কিন্তু আজ গণতন্ত্র কোথায়? আজ (০৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ উপলক্ষে জাপা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এরশাদ এ মন্তব্য করেন। ৬ ডিসেম্বর অন্য দলগুলো স্বৈরাচার পতন দিবস হিসেবে পালন করলেও এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি দিনটিকে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে পালন করে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, আজ আমার হৃদয় আনন্দে ভরপুর। আজকের দিনটি জাতীয় পার্টির জন্য একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিল। এই দিনে আমি সংবিধান সংরক্ষণের জন্য ক্ষমতা ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু সেই গণতন্ত্র এখন নেই।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসেই আমার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা দিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল আমাকে ধ্বংস করা। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আজ তাদের নিজেদের দশাও সে রকম।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি ৩৩টি আসন পেয়েছিল। খালেদা জিয়া রাতের অন্ধকারে আমার কাছে লোক পাঠিয়েছিলেন, যেন আমি তাদের সমর্থন দেই। তিনি বলেছিলেন, আমি যা চাই আমাকে তা ই দেওয়া হবে। কিন্তু আমি তাদের সমর্থন দিইনি। দিয়েছিলাম আওয়ামী লীগকে।

দলের কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, দেশে হিংসার রাজনীতি চলছে। একদল ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে বসে আছে, অন্যদল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষ পুড়িয়ে মারছে। সাধারণ মানুষের কথা কেউ ভাবছে না। আমাদের মূল্যবোধ, বিবেক হারিয়ে গেছে। এই দোষ সাধারণ মানুষের নয়, যারা দেশ পরিচালনা করে তাদের। এর পরিবর্তন হতে হবে। এভাবে কোনো দেশ, জাতি চলতে পারে না।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, তাজ রহমান, সুনীল শুভরায়, যুগ্ম মহাসচিব রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নুরুল ইসলাম নুরু, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।favicon

Sharing is caring!

Leave a Comment