বর্জ্য পানি থেকে বিদ্যুৎ
আতিকুর রহমান, রাজশাহী : শহরের ড্রেন দিয়ে বয়ে যাওয়া ময়লা বর্জ্য পানি থেকে যে দূর্গন্ধ ছড়ায় তার থেকে হয়তো রেহাই মিলবে রাজশাহীর শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত বর্জ্য পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তির ফলে। খুদে এই আবিস্কারকরা জানায়, বর্জ্য পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে তা আমাদের গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ করে বিদ্যুতের ঘাটতি কিছুটা হলেও দূও করা সম্ভব হবে। আর এ প্রযুক্তিতে খরচও হবে অনেক কম। কিন্তু যে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তার শক্তিগুণ অন্যান্য বিদ্যুদের চেয়ে বেশি না হলেও সমান সমান হবে বলে জানান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেয়া শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুলের শিক্ষক নায়লা মণি।
তিনি জানান, খুব উৎসাহ নিয়েই শিক্ষার্থীরা এসব কাজ করেছে এবং আমরাও চেষ্টা করেছি তাদের সহযোগিতা করতে। বিশেষ করে টারবাইন ঘুড়িয়ে বর্জ্য পানি থেকে বিদ্যূৎ উৎপাদনের প্রযুক্তির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, রাজশাহীর চারঘাটে যে সুইস গেট রয়েছে সেখান থেকে এই প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
পাশাপাশি পানি পথে কিভাবে জাহাজ বা লঞ্চের দূর্ঘটনা বন্ধ করা যায় সেই প্রযুক্তিও রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প-প্রযুক্তি মেলায় এনেছে এই খুদে বিজ্ঞানীরা।
এ সম্পর্কে শিমুল মেমোরিয়াল নর্থ সাউথ স্কুলের দশম শ্রেণির খুদে বিজ্ঞানী আম্মার আবদুল্লাহ জানায়, আমাদের দেশে লঞ্চ ও জাহাজে প্রায়ই দূর্ঘটনা ঘটছে, এরফলে অনেক প্রানহানি হয়। আর চালকদের অসাবধানতার কারণেই এসব দূর্ঘটনা বেশি ঘটে। তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তির বর্ণনা দিয়ে আম্মার বলে, লঞ্চ ও জাহাজে একটি স্বয়ংক্রিয় সেন্সর ব্যবহার করলে সেই দূর্ঘটনা কমে আসবে। কারণ, এই সেন্সর জাহাজে ব্যবহার করার ফলে সামনের জাহাজ কতো দূরে আছে তা চালককে সংকেতের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে।
এছাড়া জ্বালানী ছাড়াই নিজের তৈরী বিদ্যুৎ দিয়েই চলবে মটর সাইকেল-এমন প্রযুক্তি নিয়ে হাজির হয়েছে নগরীর মির্জাপুর হাই স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসতাকিন বিজয়, রকি ইসলাম, সজিব ইসলাম। রয়েছে সরকারি পিএন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবিত গ্রামীণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষি জমিতে পরিমিত পানি ব্যবহারের প্রযুক্তি, রাজশাহী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জান্নাতুল ফেরদৌসির ভুমিকম্প নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থায় নির্মিত বিশেষ খাট।