ছোটদের নির্বাচনেও ব্যালট বাক্স ছিনতাই
- নিউজ ডেস্ক
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ভোটে ব্যালট পেপার ও বাক্স ছিনতাই এবং ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার বরিশালের সদর উপজেলার কাগাশুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভোট গ্রহণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের শেষের দিকে দুই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে বহিরাগতদের সহায়তায় ব্যালট পেপার ও বাক্স লুট করে নেওয়া হয়। ব্যালট পেপার ও বাক্স লুটকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়ায় পণ্ড হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কাউন্সিলের ৮ সদস্য নির্বাচনের জন্য ২৭ শিক্ষার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেছে। সকাল ৯ টা থেকে ভোট শুরু হয়। দুপুর দেড়টার দিকে শেষ মুহূর্তে বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র রাব্বি চাপরাশি, রাফি ও হাসানের নেতৃত্বে ২০–৩০ জন বহিরাগত লাঠি–সোটা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে হামলা করে। তারা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণীর ভোট কক্ষে প্রবেশ করে ওই দুই কক্ষের দুই শিক্ষককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে তারা ব্যালট পেপার ও বাক্স লুট করেছে। তবে অষ্টম শ্রেণীর কক্ষে হানা দিয়ে ব্যালট পেপার ও বক্স ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়।
সূত্র আরও জানায়, ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেয়ার সময় স্কুলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করে। তখন তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় বিদ্যালয়জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।
ঘটনার পরপরই ভোট গ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়। তবে এর আগেই প্রায় ৮০ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে বলে জানান এক শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের প্রবীণ ও দ্বীপশংকর গুপ্ত বলেন, এ ঘটনায় আমাদের মাথা নিচু হয়ে গেছে। কোন কিছু বলার ভাষা নেই। মানুষ সব সময় প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নেয়। ওই ঘটনা সেই শিক্ষা থেকে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের হাতে শিক্ষকরা যেভাবে লাঞ্ছিত হয়েছে, তাতে শিক্ষকদের মরে যাওয়া উচিৎ। স্কুল পর্যায়ে নির্বাচন দেশের জন্য অশুভ সংকেত। নেতৃত্ব তৈরির পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা উশৃঙ্খল হচ্ছে। ছাত্রদের হাতে শিক্ষকরা লঞ্চিত হচ্ছে।’