কাকলীর মুখে হাসি ফুটবে?
- শাহজাহান নবীন, কুষ্টিয়া
কতই আর বয়স হবে? সাত-আট বছর! হালকা পাতলা গড়নের ছোট্ট সেই মেয়েটির কণ্ঠটা অসম্ভব মিষ্টি।কিন্তু এই বয়সেই ছোট্ট শরীরে বাসা বেধেছে এক দূরারোগ্য ব্যাধি। মুখের অধিকাংশ মাংসপেশী ঝুলে পড়েছে। চোখের পাতা ফুলে গিয়ে ঝুলে পড়েছে নিচের দিকে। ঠোটের মাংস গুলোও ঝুলে পড়েছে থুতনি অবধি।চিকিৎসক বলছেন, এমন রোগ খুব কম দেখা যায়।
মেয়েটির নাম কাকলী।ঝিনাইদহ জেলার কোট চাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামে তার বসবাস। শরীরের অন্যান্য অংশ স্বাভাবিক থাকলেও মুখের এমন অবস্থা দেখে গরিব বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।
ভ্যানচালক বাবা আতিয়ার রহমান জানান- ‘বিভিন্ন সময় মেয়েটাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে কোনো কাজ হয়নি। টাকা না দিলে কোনো ডাক্তারই চিকিৎসা করাতে রাজি হয় না। ভ্যান চালিয়ে যে রোজগার হয় তা দিয়ে কোনো রকমে সংসার চলে। মেয়েটার উন্নত চিকিৎসার জন্য এত টাকা কোথায় পাবো? মেয়েটার মুখের দিকে তাকাতে পারি না। কষ্টে বুক ফেঁটে যায়।’
কাকলীর মা বলেন, ‘সমবয়সী ছেলে মেয়েরা যখন খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকে তখন বিষণ্ন মনে দূরে চুপচাপ বসে থাকে কাকলী। কয়েকজন বন্ধু কাছে থাকলেও অনেকেই ভয়ে কাকলীর আশেপাশে আসে না। ’
তবু দরিদ্র মা-বাবার স্বপ্ন-তাদের মেয়েটি একদিন ফিরে পাবে তার সুন্দর মুখের ছবি।