পথ শিশুকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
চুরির অভিযোগে এক ছিন্নমূল পথ শিশুকে বিবস্ত্র করে দোকানঘরের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। এতে ওই শিশু অচেতন হয়ে পড়ে। নিষ্ঠুর এই ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী পৌর এলাকার কালিপালে।
গত ১ এপ্রিল এই ঘটনা ঘটলেও গতকাল (৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আজ দুপুরে ফেনী থানার পুলিশ শহরের সহদেবপুর এলাকা থেকে নির্যাতনের শিকার শিশু রনিকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত ১ এপ্রিল শুক্রবার জুমার নামাজের পর শিশু রনিকে বিবস্ত্র করে শহরের কালিপাল দশমী ঘাটসংলগ্ন প্রদীপ চন্দ্র দাসের ওয়ার্কশপের সামনে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে পেটানো হয়। একপর্যায়ে সড়কের ওপর লাগানো ব্যানার ছিঁড়ে বেঁধে ফেলা হয়। এমনকি বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয়। স্থানীয় কেউ ওই ঘটনার ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। গতকাল মঙ্গলবার ছবিটি আলোচনায় আসে।
প্রদীপ চন্দ্র দাস জানান, তিনি ঘটনার সময় দোকানে ছিলেন না। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় অজ্ঞাতনামা ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী ওই শিশুটি তাঁর দোকানের পেছন দিয়ে বেড়া কেটে চুরির উদ্দেশ্যে ভেতরে ঢোকে। এ সময় আশপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে মারধর করে ছেড়ে দেয়। এর বেশি কিছু তিনি জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি ছবি দেখে অর্জুন দাস ও শহীদকে শনাক্ত করেছেন। অর্জুন দাস কালীমন্দির মার্কেটের হরে কৃষ্ণ স্টোরের মালিক এবং শহীদ পুলিশ লাইনের কাছে একটি দোকানের মালিক।
এ ব্যাপারে জানতে অর্জুন দাসের দোকানে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে তিনি জানান, বাড়ি থেকে শহরে ফেরার পথে শিশুটিকে আটক অবস্থায় দেখতে পেয়ে তিনি এগিয়ে যান। চুরির কথা শুনে তিনিও কয়েকটি বেত্রাঘাত করেন।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীনুজ্জামান জানান, নির্যাতনের শিকার শিশুকে তাঁরা উদ্ধার করেছেন। নির্যাতনকারীদের নাম–পরিচয় শনাক্ত করতে তারা তদন্ত করছেন।