প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পেলেন ৬০ নারী
- নিউজ ডেস্ক
আখলিছুর রহমান পেশায় বেতের কারিগর। স্বামীর বেত-বুনন দেখতে দেখতে এই কাজে হাত মেলান তাঁর স্ত্রী সালমা বেগমও। বছর খানেকের চেষ্টায় স্বামীর চেয়ে পারদর্শী হয়ে ওঠেন তিনি। এখন আখলিছুর বেতসামগ্রী সংগ্রহ করেন, আর ঘরে বুনন করেন সালমা।
সিলেট নগরের ঘাসিটুলা এলাকার এ রকম ৬০ জন নারী বেত-বুননশিল্পীকে নিয়ে ‘বেত-বাঁশ শ্রমিক সমবায় সমিতি’ গঠন করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উদ্যোগে তাঁদের ১৪ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছিল প্রশিক্ষণের শেষ দিন।
সিলেটের সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী প্রশিক্ষিত নারীদের হাতে সনদ তুলে দেন। সেই সঙ্গে সিলেট জেলা পরিষদের মাধ্যমে সংগঠনের কার্যালয় স্থাপনে দেওয়া হয় এক লাখ টাকার অনুদান। সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চারটি মহল্লা নিয়ে ঘাসিটুলা। সুরমা নদীতীরের পুরো এলাকা একসময় ‘বেতবাজার’ নামে পরিচিত ছিল। লামাপাড়া, কলাপাড়া, শেখঘাট ও মোল্লাপাড়া—এই চার মহল্লায় বসবাসকারী সহস্রাধিক পরিবারের সদস্য বেত-বুননকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। একেকটি ঘর যেন বেতের কারখানা।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জালালউদ্দিন শাহবুলের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমদ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সালমা বাছিত, জেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক হাজারী, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সজল চক্রবর্তী ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বক্তব্য দেন।