পাহাড়ে শিক্ষাবৃত্তি
- নিউজ ডেস্ক
পাহাড়ে আলো ছড়াচ্ছে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহ জোগাতে উদ্যোগটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে। গতকাল শনিবার ৫৩৪ ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি হিসেবে ১০ লাখ টাকা ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীর মধ্যে নির্বাচিত ৩৬৬ জন পেয়েছে ২০ লাখ টাকার উচ্চশিক্ষা বৃত্তি। ২০১১ সালে জেলা পরিষদ এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করে।
জেলা অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে এবারের বৃত্তিপ্রদান ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল স ম মাহবুব উল আলম। পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. মনিরুজ্জামান খান, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্মল চাকমা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চঞ্চুমনি চাকমা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু ও নিগার সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহমান তরফদার।
খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সূত্র জানিয়েছে, এবার চতুর্থ শ্রেণিতে ট্যালেন্টপুলে ৯৯ জন, সাধারণে ২০৫ জন পরিষদের বৃত্তি পেয়েছে। ট্যালেন্টধারীরা দুই হাজার টাকা ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা এক হাজার টাকা করে বৃত্তি পেয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে রামগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তানিয়া আক্তার প্রথম, একই বিদ্যালয়ের মাসুইনু মারমা দ্বিতীয় ও মানিকছড়ি গচ্ছাবিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আল আজমির রাকিব তৃতীয় হয়েছে। চতুর্থ শ্রেণিতে টানা পাঁচবারের মতো শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হয়েছে রামগড় মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সপ্তম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে ৮৫ আর সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে ১৪৫ ছাত্রছাত্রী। ট্যালেন্টধারীরা তিন হাজার টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা পেয়েছেন দেড় হাজার টাকা। ৭ম শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ তিনটি বিদ্যালয় হলো- খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুল ও রামগড় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই শ্রেণিতে শ্রেষ্ঠ তিনজন শিক্ষার্থী হলো ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইয়েন চাকমা, রামগড় হাইস্কুলের পিয়াস দাস ও নতুন কুঁড়ি ক্যান্টনমেন্ট হাইস্কুলের বুশরা জাহান রুহী।
এদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজ, অন্যান্য কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শিক্ষাবৃত্তি পেয়েছেন ৩৮৬ জন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল কলেজে গ্রুপে ১৬৫ জন ছয় হাজার টাকা হারে, কলেজ পর্যায়ে (ডিগ্রি ও অনার্স কোর্স) ১২৬ জনকে পাঁচ হাজার টাকা ও কলেজ পর্যায় (উচ্চ মাধ্যমিক ও টেকনিক্যল গ্রুপ) ৯৫ জনকে চার হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হয়।