শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন
- প্রফেসর ড. আবদুল খালেক
একটি দেশের টেকসই উন্নয়ন তখনই সম্ভব যখন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটে। বাংলাদেশে সত্যি সত্যি তেমনটি ঘটতে শুরু করেছে। ২০০৮ সালের শেষভাগে সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এই সরকারের শাসনকাল মোটামুটি আট বছর পূর্ণ হয়েছে। আট বছর আগে বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কোনো দেশ ভাবতেও পারেনি ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে। শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরপরই রাষ্ট্র পরিচালনায় এমন কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেন, যার ফলে দিন দিন দেশের মাথাপিছু আয় বাড়তে থাকে, দেশের অর্থনীতি দিন দিন চাঙ্গা হয়ে উঠতে থাকে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুত্, কৃষি এবং অন্যান্য সেক্টরে উন্নয়নের হাওয়া বইতে শুরু করে। আমাদের দেশে একটি নীতিবাক্য প্রচলিত আছে—‘শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড’। অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি যদি শিক্ষার উন্নয়ন না ঘটে, সে অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থায়ী রূপ পেতে পারে না। তবে আশার কথা, আমাদের দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও মানবসম্পদের উন্নতি সমান্তরালভাবে এগিয়ে চলেছে। এ মুহূর্তে আমরা শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়নের দিকে একটু দৃষ্টি দিতে পারি। গত একদশকে শিক্ষার সর্বস্তরেই চোখে পড়ার মতো অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষার এই ব্যাপক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অর্জন দেশের অর্থনীতির ভিত্তিকেও মজবুত করে তুলেছে। বর্তমান সরকার তার আট বছরের শাসনকালে দেশের প্রায় ৯৬ শতাংশ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার সাফল্য দেখিয়েছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণেও অর্জিত হয়েছে তাত্পর্যপূর্ণ সাফল্য। আট বছর আগে যেখানে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থী ভর্তির হার ছিল ৬১ শতাংশ, বর্তমানে সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় শতভাগ। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তির হার ছিল ৫১ শতাংশ, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ শতাংশ। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির হার ছিল ৩৩ শতাংশ, বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৪৪ শতাংশ।
যে জাতি নারীদের শিক্ষিত করে তুলতে পারে সে জাতির উন্নতি অবধারিত। বর্তমান সরকার শিক্ষায় নারী-পুরুষের সমতা অর্জনে প্রশংসনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশে শিক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। একসময় নারী শিক্ষা ছিল শুধু উচ্চবিত্ত ও শহরের কিছু পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে। প্রায় শতভাগ মেয়েই এখন স্কুলে যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য বিদ্যালয়ে যে পরিবেশ থাকা দরকার, সরকার তা নিশ্চিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় ৬০ ভাগ নারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম স্থানে অবস্থান করছে।
শিক্ষা খাতে বাজেট : মানবসম্পদ ও শিক্ষা নিশ্চিত করতে সুযোগের পাশাপাশি সম্পদেরও প্রয়োজন। চলতি অর্থবছরে সরকার জাতীয় বাজেটের ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ বরাদ্দ দিয়েছে শিক্ষাখাতে। টাকার অঙ্কে যা আগের বছরের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক বক্তব্য থেকে জানা গেছে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তাঁর সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে পরিমাণ পাঠ্যবই বিতরণ করেছে সে বইয়ের সংখ্যা ২৪৩ কোটি। এনসিটিবি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন আট বছরে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। গতবছর ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৬২ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছিল। এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এবারই প্রথমবারের মতো পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মধ্যে বই বিতরণ করা হয়েছে।
একটি দেশের শিক্ষার মানকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার নীতিমালা অপরিহার্য। বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতা হাতে নেওয়ার পরপরই জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জমানকে কো-চেয়ারম্যান করে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সামনে ছিল কুদরত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট। সেই রিপোর্টের আলোকে কমিটি চার মাসের মধ্যেই একটি শিক্ষানীতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। ২০১০ সালে শিক্ষানীতিটি জাতীয় সংসদে পাস হয়ে যায়। এ শিক্ষানীতি অতীতের পশ্চাত্পদতা ও বিভ্রান্তি ঝেড়ে ফেলে যুগের চাহিদা পূরণে সক্ষম। এর পূর্ণ বাস্তবায়ন হলে দেশ জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় অনেক এগিয়ে যাবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা বৃদ্ধি, ঝরেপড়া রোধ করা, বাল্যবিবাহ রোধ করা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিক্ষার প্রসার, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার উপবৃত্তিসহ আর্থিক সহায়তা অনেক বাড়িয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মেয়েদের অবৈতনিক শিক্ষার ধাপ। দেশের সকল বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের শিক্ষকের সরকার থেকে বেতন প্রদান করা হয়। বর্তমান সরকার ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এক লাখেরও বেশি প্রাথমিক শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণ করেছে। শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে এক হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছে।
মাদ্রাসা শিক্ষায় আধুনিকায়ন : বর্তমান সরকার মাদ্রাসায় ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে সম্পৃক্ত করেছে। সাধারণ শিক্ষার অনুরূপ মাদ্রাসা শিক্ষায় বিজ্ঞান ও কম্পিউটার শাখা চালু করা হয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষায় বিদ্যমান সমস্যার সমাধান ও আধুনিকায়নে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। মাদ্রাসা শিক্ষা পরিচালনার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর স্থাপিত হচ্ছে। তাছাড়া দেশে একটি ইসলামি-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর সাফল্যের কথা স্বীকার করতেই হবে। বছরের প্রথম দিনে তিনি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে পেরেছেন, পরীক্ষার পূর্ব নির্ধারিত তারিখে তিনি পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পেরেছেন, এ সাফল্যকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষার মান নিয়ে কথা উঠেছে। সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা যখন চালু হয়, তখন শিক্ষার মান খানিকটা নেমে যায়, এটাই স্বাভাবিক। উন্নত দেশেও তেমনটি ঘটে থাকে। শিক্ষার্থীদের হাতে এ বছর যে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে, সে সব বইয়ে কিছু ভুল বানান এবং ভুল তথ্য দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি দুর্ভাগ্যজনক। এ ভুলের জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।
আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষা দেখভাল করার জন্য মূল দায়িত্ব পালন করে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইউজিসি কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকেন। ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৮ সাল পর্যন্ত যেখানে সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৮০টি, ২০১৫ সালে দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩টি। ক্রমবর্ধমান চাহিদার আলোকে ২০১৬ সালে আরো কিছু সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও সুসমন্বিত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কয়েকটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা ইতোমধ্যেই সর্বমহলে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় দেশের উচ্চশিক্ষার মান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে ২০০৯ সাল থেকে হেকেপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। প্রকল্পটি ইতিবাচক হওয়ার কারণে বিশ্বব্যাংক অতিরিক্ত ১১৫ মিলিয়ন ডলার অর্থায়নসহ প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৮ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে। বিশ্ব পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে মানসম্মত জীবনমুখী ও প্রয়োগধর্মী শিক্ষা সুনিশ্চিতকরণের পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক উন্নত দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়।
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও আমাদের দেশে রয়েছে একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ন্যস্ত রয়েছে দেশের বিপুলসংখ্যক ডিগ্রি পর্যায়ের কলেজ। এই কলেজগুলোতে অনার্স পড়ানোরও ব্যবস্থা আছে। কলেজগুলোতে দেশের প্রচুর ছাত্রছাত্রী অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করতে পারছে। বর্তমান সরকারের বিগত ৮ বছরের শাসনকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য প্রচুর অর্থ প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থানা উপজেলা পর্যায়ের কলেজগুলোতেও অনার্স পড়ানোর ব্যবস্থা আছে। এসব কলেজের অনার্সের মান নিয়ে সমাজে নানা প্রশ্ন আছে। থানা-উপজেলার কলেজগুলোতে ভালো মানের শিক্ষকের স্বল্পতা আছে। এই স্বল্পতা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। ভালো মানের শিক্ষক না হলে, ভালো মানের শিক্ষার্থী তৈরি হবে না।
বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। ২০০৯ সালের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে ধরনের সেশনজট ছিল, আজ তা নেই বললেই চলে। প্রতি বছর সময়মতো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে, নিয়মিত ক্লাস চলছে এবং যথাসময়ে তারা ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ করতে পারছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখা বর্তমান সরকারের বড় রকমের সাফল্য।
যতদূর জানা যায়, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৫টি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে অতীতে যে অনিয়ম অরাজকতা ছিল বর্তমান সরকার তা দূর করতে অনেকাংশে সফল হয়েছে। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকার ২০১০ সালে একটি নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। সেই নীতিমালা প্রয়োগের ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা স্থাপন করে দেশে যে শিক্ষা বাণিজ্য শুরু হয়েছিল, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র বলিষ্ঠ হস্তক্ষেপের ফলে শাখা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে। এতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। এটিও বর্তমান সরকারের একটি বড় রকমের সাফল্য।
এভাবে যদি আমরা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার বিষয় পর্যালোচনা করি, তাহলে দেখা যাবে বিগত ৮ বছরে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা প্রায় অতুলনীয়। শিক্ষা ও মানব সম্পদ একে অপরের পরিপূরক। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকেই মানবসম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করতে পারি, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ শুধু একটি মধ্যম আয়ের দেশ হবে না, শিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ একটি মধ্যমানের শিক্ষিত দেশ বলে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।
লেখক : সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়