‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খাদ্য প্রকৌশলীদের ভূমিকা’

‘নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খাদ্য প্রকৌশলীদের ভূমিকা’

  • গাজী আনিস

ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার তৈরির জন্য খাদ্য উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ও জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরি, অনিরাপদ খাবার উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রতিরোধ গড়াসহ, বর্তমান প্রজন্মকে স্বাস্থ্য ও গুণগত মানসম্পন্ন খাবার উপহার দেবার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘বাংলাদেশের নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খাদ্য প্রকৌশলীদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার।

শনিবার (৩০ মার্চ) বিকেল ৩টায় বিসিএসআইআর এর জ্বালানি গবেষণা ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফুড এন্ড নিউট্রিশন অ্যাসোসিয়েশন (বাফনা)-র আয়োজনে সেমিনারে অংশ নেন বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, পরিচালকবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাফনার সদস্য সচিব বিপুল বিশ্বাস, তিনি খাদ্য প্রকৌশলীদের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও সেমিনারের মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন। পাশাপাশি  বাফনার পক্ষ থেকে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে খাদ্য প্রকৌশলীরা কিভাবে  যুক্ত হতে পারে তার উপর বিশেষ আলোকপাত করেন।

বিশেষ আলোচক হিসেবে সেমিনারে গবেষণাধর্মী বার্তা উপস্থাপন করেন ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন অব দ্য ইউনাইটেড ন্যাশনস এর ফুড সেফটি সিস্টেম স্পেশালিষ্ট মো. ইমরুল হাসান।

প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোরশেদ আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, বিসিএসআইআর এর পরিচালক ড. বরুণ কান্তি সাহা, বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক ড. নজির আহমদ মিয়া, এনপিআই ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রোফেসর ড. কে এম ফরমুজুল হক, স্টেট ইউনিভার্সিটির ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের প্রধান প্রফেসর আনিস আলম সিদ্দিকী, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শুভময় দত্ত, এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক মিসেস রওশন আক্তার চৌধুরী, এলসন ফুডস-এর পরিচালক শাহরিম সানজীদ প্রমুখ।

অতিথিরা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রকৌশলীদের করণীয় বিষয়, একই সঙ্গে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনে প্রতিরোধ গড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছড়িয়ে যাবার আহ্বান জানান। কর্মক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতায় আশ্বাস দেন। খাদ্য প্রকৌশলীদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য সামাজিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে নয়, ভেজাল খাদ্য তৈরি প্রতিরোধের জন্য মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেবার অনুরোধ করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাফনার আহ্বায়ক আরজু আহমেদ। তিনি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কর্তৃক খাদ্য প্রকৌশলীদের জন্য সরকারীভাবে স্থায়ী সনদের ব্যবস্থা করার দাবি রাখেন। আগত অতিথিদের কাছে খাদ্য প্রকৌশলীদের গুরুত্ব, কর্মক্ষেত্রে তাদের সুযোগ সুবিধা বাড়ানো, তাদের কাজের পরিধিকে আরও প্রশস্থ করার আহ্বান জানান।

Sharing is caring!

Leave a Comment