একনজরে পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত

একনজরে পদ্মা সেতুর আদ্যোপান্ত

  • ফিচার ডেস্ক

পদ্মা সেতু নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞের পেছনে রয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ আর বাধা-বিপত্তির গল্প। পাঠকের জন্য পদ্মা সেতু সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো যা অনেকেই হয়তো জানেন না।

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প পদ্মা সেতুর ৪১তম ও শেষ স্প্যানটি গত ১০ ডিসেম্বর বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে সেতুর মূল কাঠামো ৬.৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এরপরের ধাপে সেতুর ওপর সড়ক ও রেলের স্ল্যাব বসানোর কাজ শুরু হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ২০২২ সালের জুন মাসে পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্পের নাম- পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য- ৬.১৫ কিলোমিটার, তবে ডাঙার অংশ ধরলে এর দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ৯ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর প্রস্থ- চার লেন সড়কের সেতুটির প্রস্থ ৭২ ফুট।

পদ্মা সেতুতে রেললাইন স্থাপন করা হবে- নিচ তলায়।

সেতুতে রেলপথ সংযুক্তির সিদ্ধান্ত হয়- ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি।

পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য- ৩.১৮ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন দুই প্রান্তে- ১২ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য- দুই প্রান্তে ১৪ কিলোমিটার।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে মোট ব্যয়- মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩.৩৯ কোটি টাকা।

৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় করা হয়েছে- ২৪ হাজার ১১৫.০২ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পে নদীশাসন ব্যয়- ৮ হাজার ৭০৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতুর ভায়াডাক্ট পিলার- ৮১টি।

পদ্মা সেতুর পাইলিং গভীরতা- ৩৮৩ ফুট।

পানির স্তর থেকে পদ্মা সেতুর উচ্চতা- ৬০ ফুট।

প্রতি পিলারের জন্য পাইলিং- ৬টি।

পদ্মা সেতুর মোট পাইলিং সংখ্যা- ২৬৪টি।

পদ্মা সেতুর পিলার সংখ্যা- ৪২টি।

পদ্মা সেতুতে রেল ছাড়াও আরও রয়েছে- গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল ফাইবার লাইন পরিবহন সুবিধা।

পদ্মা সেতুর নির্মাণ সামগ্রী- কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে

পদ্মা সেতু প্রকল্পে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানির নাম- চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি।

পদ্মা সেতু রাজধানী ঢাকার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে- দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার। 

পদ্মা সেতু সংযোগ স্থাপন করেছে- মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ‍ও শরীয়তপুরের জাজিরায়।

সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সাথে ঋণ চুক্তি হয়েছিল- ১২০ কোটি ডলারের।

২০১৬-১৭ সালে সেতু প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির আভিযোগ ওঠায় ঋণচুক্তি প্রত্যাহার করে- বিশ্বব্যাংক, এডিবি ও জাইকা।

পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়- ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ সালে।

পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়- ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর।

Sharing is caring!

Leave a Comment