বিশ্ব চড়ুই দিবসে কেমন আছে ওরা?

বিশ্ব চড়ুই দিবসে কেমন আছে ওরা?

  • ফিচার ডেস্ক

সকালবেলার রোদ্দুর মাটিতে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে একটা চড়ুই পাখির এক্কাদোক্কা খেলার কথা গানে গানে কত আগেই বলে গিয়েছিলেন নাগরিক কবিয়াল। চড়ুই আমবাঙালির নিত্যদিনের পরিচিত এক সঙ্গী। তাই খুব একটা গুরুত্ব দেওয়াই হয় না। আবার কিচিরমিচির ডাক নিয়ে নস্টালজিয়াও কম নয়। সে যাই হোক, আপাতত চড়ুই বৃত্তান্তে ঘনিয়েছে আশঙ্কার কালো মেঘ। কারণ, তাদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। অপরিকল্পিত নগরায়নের কোপ পড়ছে তাদের উপর। ২০ মার্চ, বিশ্ব চড়ুই দিবসে তাদের নিয়ে এমনই অশনি সংকেত দেখছেন পক্ষীবিদরা।

হাউস স্প্যারো অর্থাৎ বাসা বাড়ির চড়াই। আমাদের অতি সুপরিচিত পাখিটির আদি নিবাস ইউরেশিয়া ও আফ্রিকায় হলেও বর্তমানে পৃথিবীর প্রায় সব মহাদেশেই এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। আর তাই বাঙালি থেকে বিলিতি সমস্ত লেখকদের রচনায় ফুটে উঠেছে এই চড়ুই পাখির বর্ণনা। ২০ মার্চ চড়ুই পাখি দিবস। বিশ্বের ৫০টি দেশ এই দিনটি পালন করে থাকে। শনিবার এই বিশ্ব চড়ুই পাখি দিবসে চড়ুই কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন পরিবেশবিদরা।

মূলত চড়ুইয়ের কমে যাওয়ার পিছনে অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন। ফলে পাকা বাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কমে যাচ্ছে এই সমস্ত চড়ুই পাখিদের থাকার জায়গা। কারণ, নতুন বাড়িতে বা ফ্ল্যাটে  সেভাবে ঘুলঘুলি বা কড়িকাঠ থাকে না। এর ফলে চড়ুই পাখির বাসা করার জায়গা কমে যাচ্ছে। মূলত ঘাস ও খড় দিয়ে এই পাখিরা বাসা বানিয়ে ডিম পেড়ে নতুন প্রজন্ম তৈরি করে। বিভিন্ন শস্যদানা খেয়ে বেঁচে থাকে এই পাখিটি। তবে বিড়াল, বাজ, পেঁচা জাতীয় পাখি-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির শিকার হয় চড়ুই এবং মোবাইল রেডিয়েশনের কারণেই এই পাখির সংখ্যা দিনদিন কমে যাচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

সাধারণত চড়ুই পাখির দৈর্ঘ্য ১৫ সেন্টিমিটার, ওজন ২৫ গ্রাম থেকে ৪০ গ্রাম। একটানা ২৪ মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। স্ত্রী চড়ুই পুরুষদের থেকে খানিকটা ছোট হয়। তবে ভারতে সাধারণত চড়ুইকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়–একটি বাস্তু পাখি চড়ুই, অন্যটি ইউরেশীয় গাছ চড়ুই। গড় আয়ু ৬ থেকে ৮ বছর। বর্তমানে তাই অস্তিত্ব রক্ষায় মরিয়া লড়াই চালাতে হচ্ছে তাদের।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

Sharing is caring!

Leave a Comment