বিশ্বের সবচেয়ে চোখধাঁধানো কিছু লাইব্রেরি

বিশ্বের সবচেয়ে চোখধাঁধানো কিছু লাইব্রেরি

  • ফিচার ডেস্ক

লাইব্রেরি বা গ্রন্থাগার মানবসভ্যতার অঙ্গ, চলে আসছে গত চার হাজার বছর ধরে৷ মানুষ যত আধুনিক ও সভ্য হয়েছে, তত লাইব্রেরির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছে। নির্মাণ করেছে দৃষ্টিনন্দন অনেক লাইব্রেরি। এই প্রতিবেদনে থাকছে চোখ ধাঁধানো কয়েকটি লাইব্রেরির খবর।

১.

জার্মানির ভাইমার শহরের ডাচেস আনা আমালিয়া লাইব্রেরিটির বর্তমান নামকরণ হয় ১৯৯১ সালে৷ এর আগের ৩০০ বছর ধরে লাইব্রেরিটির নাম ছিল শুধু ডিউকের লাইব্রেরি৷ লাইব্রেরির সুবিখ্যাত রকোকো কারুকার্যের হলটি আগুনে অংশত ধ্বংস হয়ে যাবার পর লাইব্রেরিটি নতুন করে খোলে ২০০৭ সালের ২৪শে অক্টোবর৷

২.

নেদারল্যান্ডসের ডেল্ফট শহরের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিটির ছাদের ঢালে ঘাস গজানো হয়েছে৷ মাঝখানের ৪২ মিটার উঁচু মোচাকার টাওয়ারটিতে কিন্তু চার তলা বই লুকানো আছে৷

৩.

পর্তুগালের কোইম্ব্রা শহরের বিবিলিওতেকা জোয়ানিনা হলো রাজা পঞ্চম জন-এর গ্রন্থাগার, যিনি এই লাইব্রেরিটি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ লাইব্রেরির সব বইয়ের তাক বহুমূল্য টিউলিপ কাঠ আর আবলুস কাঠ দিয়ে তৈরি৷

৪.

প্রাচীন মিশরে প্যাপাইরাস বা নলখাগড়ার পাতের ওপর লেখা হতো৷ অতীতে আলেক্সান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারে নাকি সে আমলের যাবতীয় জ্ঞানবিজ্ঞান প্রায় পাঁচ লাখ প্যাপাইরাসের রোল বা পাকানো পুঁথিতে রাখা ছিল৷ কিন্তু আজ থেকে ২,০০০ বছর আগে সেই গ্রন্থাগার পুড়ে ছাই হয়ে যায়৷ নতুন আলেক্সান্দ্রিয়া লাইব্রেরিটি খোলা হয়েছে ২০০২ সালে৷ তৈরি করতে খরচ পড়ছে প্রায় ২২ কোটি ডলার বা ১৯ কোটি ইউরো।

৫.

সুইজারল্যান্ডের সাঙ্ক্ৎ গালেন-এ সন্ত গাল-এর মঠের গ্রন্থাগার ১৯৮৩ সাল থেকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ তালিকায় রয়েছে। এখানে যেসব বই ও পুঁথি রাখা রয়েছে, তার মধ্যে বেশ কিছু ১,৩০০ বছরেরও বেশি পুরনো। এছাড়া দেখতে পাওয়া যাবে ইউরোপের সবচেয়ে পুরনো বাড়ি তৈরির নকশা – বা একটি মিশরীয় মামি!

৬.

গ্রন্থাগারটি তৈরি হয় ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে, কিন্তু তার ১৪ বছর পরেই ব্রিটিশরা তা পুড়িয়ে ছাই করে দেয়৷ লাইব্রেরিটি পুনর্নির্মাণ করতে লাগে ২৪,০০০ ডলার৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন তাঁর ব্যক্তিগত বইয়ের সংগ্রহ থেকে প্রায় ৬,৫০০ বই বিক্রি করে সেই অর্থ সংগ্রহ করেন৷

৭.

ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ লাইব্রেরির দোতলা ‘লং রুম’-টি ৬৪ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওড়া এবং আগাগোড়া ওক কাঠে তৈরি৷ গোড়ায় ছাদটা কিন্তু ইট-চুন-সুড়কিরই ছিল৷ ১৮৫৮ সালে সেটাকে বদলে একটি ওক কাঠের ছাদে পরিণত করা হয়৷

৮.

বিশ্বের সাতটি বৃহত্তম গ্রন্থাগারের একটি চীনের এই জাতীয় গ্রন্থাগার৷ এখানে তিন কোটির বেশি বই রয়েছে৷ তিনবার নাম বদলেছে লাইব্রেরিটি৷ ১৮০৯ সালে নির্মাণের সময় নাম ছিল ‘রাজধানীর গ্রন্থাগার’; ১৯২৮ সালে চীনে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবার পর লাইব্রেরিটির নাম হয় ‘বেইজিং গ্রন্থাগার’; সরকারের তরফ থেকে বর্তমান নামটি দেওয়া হয় ১৯৯৮ সালে৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

Sharing is caring!

Leave a Comment