গুটি পোকার বাণিজ্যিক চাষ
- ইসতিয়াক
গুটি পোকা বা রেশম পোকা থেকে রেশমি সুতার উদ্ভাবন সর্বপ্রথম শুরু হয় চীনদেশে। ছোট পাখা থাকলেও উড়তে না পারা এই পোকা থেকে উচ্চ মানের সুতা বের করে বানানো হতো এক ধরনের কাপড়, যা রেশম কাপড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
চীনের পরে অন্যান্য দেশ গুলোও এমন কাপড় তৈরি করতে লাগলো। তবে কালক্রমে তা বিলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশগুলোতে এই গুটি বা রেশম পোকার চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। রেশম কাপড় জনপ্রিয় হওয়ার ফলে বাংলাদেশও এখন বাণিজ্যিক ভাবে রপ্তানি করতে পারে এই কাপড়। দেশের বাজার চাহিদা অনুযায়ী এই পোকার চাষ করা হয়। তুঁত পাতা খেয়ে গুটি বা রেশম পোকা বংশ বিস্তার করে, যা থেকে উৎপাদিত হয় ভালো মানের রেশম কাপড়। এই পোকা থেকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ভাবে বেশ লাভবান হচ্ছে। এদের চাষ করার জন্য খুব বেশি যন্ত্রের প্রয়োজন না হলেও কাপড় উৎপাদিত হয় উন্নত মানের।
গুটি পোকা পালনের ফলে যেই ভালো মানের রেশম সুতা আহরন করা হয় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। এই পোকার চাষ অতি সহজে হবার ফলে যে কেউ এর চাষ করতে পারে। অন্যান্য ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলেও গুটি পোকার চাষে কোন প্রকার ক্ষতির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। ফলে নির্দ্বিধায় এই পোকার চাষ করা যায়।
কুটির শিল্পের সাথে গুটি পোকা বা রেশম পোকা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে নয়, ঐতিহ্যের দিক থেকেও এই গুটি বা রেশম পোকার চাষের কোন জুড়ি নেই। গুটি পোকা থেকে আহরন করা সুতা দ্বারা আমাদের ঐতিহ্য কে খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।