শীতে চাই কোমল ঠোঁট

শীতে চাই কোমল ঠোঁট

রবিউল কমল: প্রকৃতি এখন শীতের দখলে তাই রুক্ষতা আমাদের নিত্য সঙ্গী। শীতের রুক্ষতায় ঠোঁট হারিয়ে ফেলে তার আদ্রতা। আর তাই শীতে ঠোঁটের জন্য প্রয়োজন একটু বাড়তি পরিচর্যা। তাহলে প্রকৃতির রুক্ষতাকে জয় করে হাসতে পারবেন নির্মল হাসি। শীতে কিভাবে আপনি আপনার ঠোঁটকে কোমল রাখবেন তার জন্য কিছু পরামর্শ।


পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার: ঠোঁটের পরিচর্যায় পেট্রোলিয়াম জেলির ব্যবহার হয় বেশি। তবে দিনের বেলায় পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার না করাই ভালো। আঠালো হওয়ার কারণে এতে খুব সহজে ধুলাবালি আটকে যায়, যা থেকে ঠোঁটে রোগ সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রাতের বেলা ঘুমের আগে ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। এতে পুরো রাত ধরে ঠোঁট তার পুষ্টি পাবে। সকালবেলা আপনি নিজেই নিজের কোমল অনুভূতি বুঝতে পারবেন।

লিপস্টিকের ব্যবহার: শীত বলেই যে ঠোঁট সাজাতে মানা তা কিন্তু নয়। এ সময় আপনার ইচ্ছেমতো রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। তবে গরমের ম্যাট লিপস্টিক তুলে রাখুন আর লিপস্টিক হিসেবে ক্রিমি লিপস্টিক বেছে নিন। লিপস্টিক ব্যবহারের আগে লিপবাম লাগিয়ে নিন।

ঠোঁটের কালো ভাব দূরীকরণ: শীতে ঠোঁটের কালো ভাব দূর করতে রাতে মধু, গ্লিসারিন ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে তুলার সাহায্যে লাগাতে পারেন। এতে ঠোঁটের কোমলতা ও উজ্জ্বলতা দুই-ই বাড়বে।

লিপবামের ব্যবহার: ঠোঁটের কোমলতা ধরে রাখতে প্রতিদিন নিয়ম করে লিপবাম ব্যবহার করুন। লিপবাম ব্যবহারের আগে অবশ্যই ঠোঁট পরিষ্কার করে নিন। ঠোঁটে অযথা ঘষাঘষি করবেন না। তুলা ভিজিয়ে আলতোভাবে ঠোঁট পরিষ্কার করুন। ঠোঁটের সৌন্দর্য ধরে রাখতে দুধের সর, লেবুর রস ও চন্দন একসঙ্গে মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর লিপবাম লাগান।

ঠোঁটের স্বাভাবিক রং: শীতে ঠোঁটের স্বাভাবিক রং ধরে রাখতে রাতে গোলাপের পাপড়ি পেস্ট ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা ভেজা অবস্থায় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান।

সান প্রটেকটিভ ফ্যাক্টর : শীতের রোদ যত মিঠেই মনে হোক, শীতে দিনের বেলায় লিপবাম হিসেবে এসপিএফ-১৫ (সান প্রটেকটিভ ফ্যাক্টর)-সহ লিপবাম বেছে নিন। লিপস্টিকের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এতে ঠোঁট রোদে পোড়া থেকে রেহাই পাবে।

শুষ্কতা রোধ : যাদের ঠোঁট দ্রত শুষ্ক হয়ে যায়, তারা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো থেকে বিরত থাকুন। আপনার হাতব্যাগ কিংবা পকেটে সব সময় একটি লিপবাম রেখে দিন। কিছু সময় পর পর ঠোঁটে এর পরশ বুলিয়ে নিন।

ফাঁটা চামড়া অপসারণ: যাদের ঠোঁট ফাঁটে তারা কুসুম গরম পানিতে তুলা ভিজিয়ে আলতোভাবে ঘষে বাড়তি চামড়া ধীরে ধীরে তুলে নিন। এরপর পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। মাখনও লাগাতে পারেন।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার : যাদের ঠোঁটের রুক্ষতা বেশি, তারা লিপবাম বা পেট্রোলিয়াম জেলির পরিবর্তে লিপবাটার ও নারকেল তেল লাগালে উপকার পাবেন। ঠোঁটের কোমলতার জন্য খাঁটি ঘি ও মাখনও লাগাতে পারেন।

বিদেশী ওয়েবসাইট অবলম্বনে রচনা: রবিউল কমল।
মডেল: মিশু চৌধুরী।
ফটোগ্রফি : এস এম রাসেল। favicon

Sharing is caring!

Leave a Comment