অপেক্ষায় সিলেট, জয়ে ফেরার আশা বাংলাদেশের
- স্পোর্টস ডেস্ক
বছর চারেক আগে আন্তর্জাতিক অভিষেক স্বাদ পেয়েছে সিলেট। বিপিএলে জানান দেয় তাদের আতিথেয়তার স্বাদ। তবুও রয়ে গেছে আক্ষেপ, রয়ে গেছে অভিমান। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়নি টাইগার জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ। তবে এবার অপেক্ষার প্রহর শেষে আলোর ফোয়ারা ছিটাতে জাতীয় দল এখন সিলেটে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি দিয়ে নয়নাভিরাম এই মাঠে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের পথচলা।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের ফলে সিরিজে পিছিয়ে স্বাগতিক শিবির। আজ রোববার (১৮ ফ্রেবুয়ারি) শেষ টি-টোয়েন্টি সিলেটে। ম্যাচটি শুধু মাত্র একটি ম্যাচ নয়, নিজেদের জানান দেয়ার সুযোগও বটে। একদিকে যেমন সিলেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জয় দিয়ে স্মরণীয় করার হাতছানি, তেমনি হতাশায় বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ। সিরিজে শেষটা ভালো করার সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শেষ ভাগ থেকে শুরু হতাশা যেন পিছু ছাড়েনি মুশফিকদের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের রেকর্ড ১৯৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচও শ্রীলঙ্কা জিতেছে নিজেদের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে।
এমন হারের পর দলের মনোবলে চির ধরা স্বাভাবিক, তবে মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে তবু ফুটে উঠল আশার বাণী।
‘টেস্ট সিরিজ ও ওয়ানডে সিরিজে আমরা আশাবাদী ছিলাম, আশানুরূপ ফল পাইনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ম্যাচটা ব্যাটসম্যানরা ভালো পারফর্ম করেছে, কিন্তু বোলাররা হয়তো পরিকল্পনা ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কিন্তু এখনও একটা ম্যাচ আছে। সেটিতে গর্ব নিয়ে নামার মানসিকতা এখনও আছে আমাদের। আমরা সেটার জন্য খেলব। ওটাই আমরা চিন্তা করছি।’
‘আমরা নিজেদের অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করছি যেন সিরিজটা জিততে না পারলেও, অন্তত ড্র করতে পারি। এটাই লক্ষ্য। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমরা খেলেছি জেতার জন্য। চেষ্টা থাকবে এটাই, যেন নিজেরাই অনুপ্রাণিত হয়ে ভালো একটা ফল নিয়ে শেষ করতে পারি।’
‘ঘুরে দাঁড়ানোর একটা তাগিদ সবার মাথায় কাজ করছে। আশা করি, আমরা মাঠে কিছু একটা করে দেখাতে পারব। যেটা আমি আগেই বললাম যে, নিজেরা অনুপ্রাণিত হওয়া, বাংলাদেশ দলকে কিছু দেওয়ার জন্য বাড়তি কিছু করা। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। নিজেরাও ওই জিনিসটা অনুভব করছি। আশা করছি, ভালো কিছু দেখাতে পারব।’
গত বিপিএলে , এই মাঠে পরে ব্যাট করা দলই জিতেছে বেশি। ৮ ম্যাচের ৬টিতেই জিতেছে রান তাড়া করা দল। সেদিক থেকে টস হয়ে উঠতে পারে গুরুত্বপূর্ণ। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য টসের ভাবনায় যেতেই নারাজ।
‘টি-টোয়েন্টিতে প্রত্যেকটি বিভাগেই ভালো করতে হবে। আগে ব্যাটিং করেন বা বোলিং, স্কিল পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারলে সেটিই যথেষ্ট। কন্ডিশন যদি একটু ভিন্ন থাকে, তাহলে টসের ইস্যুতে বিবেচনার বিষয় থাকে। নইলে আগে ব্যাটিং বা বোলিং নিয়ে ভাবনার কিছু নেই।’
বাংলাদেশের যেখানে শেষটা ভালো করার প্রাণ পণ চেষ্টা, শ্রীলঙ্কার সেখানে হাতছানি আরও একটা ট্রফি ঘরে তোলার। ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জয়, টেস্ট সিরিজ জয়, শেষ লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি সিরিজ। শ্রীলঙ্কান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের কণ্ঠে সেটিরই আভাস।
‘অবশ্যই আমরা চাইব ২-০তে জিততে। আমরা কোনো ম্যাচেই হারার জন্য নামি না, ম্যাচ জিততেই এখানে এসেছি। এই সফরে ভালো করেছি। শেষটাও জয় দিয়ে করতে পারলে দারুণ হবে।’
সিলেটে বাংলাদেশের শুরুর ম্যাচটির দিকে এখন সবাই তাকিয়ে, পারবে তো বাংলাদেশ?