আফ্রিদির অসাধারণ বোলিং
স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে বল করার সুযোগ মাত্র ৪ ওভার। ধুম-ধাড়াক্কা ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে চার ওভারে বোলারের ওপর রীতিমত স্ট্রিমরোলার চালিয়ে দেয় ব্যাটসম্যানরা। এই ফরম্যাটে বলতে গেলে বোলাররা অসহায়। যত বড় বোলারই হোক, মার খেতে হবেই! কোন রেহাই নেই।
কিন্তু কোন কোন সময় ব্যাটসম্যানদের ধ্বংসাত্মক মানসকিতাকে উল্টো ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেন কোন কোন বোলার। তাদের মধ্যে আফ্রিদি বুঝি এমন একজন বোলার! সোমবার রাতেই শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তেমন বিধ্বংসী এক মানসিকতার পরিচয় দিলেন পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক। ৪ ওভারে রান দিলেন মাত্র ৭টি। আর উইকেট নিয়েছেন ৫টি। টি-টোয়েন্টিতে এমন বিধ্বংসী বোলিং কে কবে কোথায় দেখেছে! ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে আফ্রিদি কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন ২০০তম ম্যাচ। টি-টোয়েন্টিতে এতগুলো ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়াও তো কারও পক্ষে সম্ভব নয়।
আর আফ্রিদি কি না ডাবল সেঞ্চুরির এই দিনটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ মাত্র ৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। কোয়েটার বিপক্ষে ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে বল করতে আসেন তিনি। প্রথম বলটা ঠেকালেন আকবর-উর রহমান। পরের বলেই তুলে নিলেন উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে আসাদ শফিককে তুলে নিলেন তিনি। নিজের তৃতীয় ওভারে আফ্রিদি হানলেন জোড়া আঘাত। দলের ১২তম এবং নিজের চতুর্থ ওভারে আবারও জোড়া আঘাত। সঙ্গে মেডেন। বোলিং ফিগার দাঁড়াল ৪-১-৭-৫!
তামিম ইকবালকে ছাড়াই কোয়েটার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল পেশোয়ার জালমি। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে সঙ্গ দিতে তামিম ব্যাংকক চলে যাওয়ায় খেলতে পারেননি তিনি। তবে দলের সেরা পারফরমারকে ছাড়াও জয়ের ধারা অব্যাহ থেকেছে পেশোয়ারের। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেছে পেশোয়ার। কোয়েটার ছুড়ে দেয়া ১২৯ রানের চ্যালেঞ্জ ১৮.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই পার হয়ে যায় পেশোয়ার জালমি। তামিমের অনুপস্থিতিতে ব্যাটিং অর্ডারে সামনে আসা ডেভিড মালান করেন ৬০ রান। মোহাম্মদ হাফিজ করেন ৩৬ রান।