শেষ ম্যাচ ড্র বাংলাদেশ-নেপাল সিরিজের
- ফয়সাল আহমেদ
আগের ম্যাচে দল পেয়েছিল ২-০ গোলের অনায়াস জয়। আরেকটি সাফল্য পেতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। তবে এবার জয়ে রঙিন করে তোলা হয়নি। কিন্তু দুর্দান্ত ফুটবল খেলে নেপালের বিপক্ষে ঠিকই অজেয় থেকে মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার মানেনি বাংলাদেশ দল। ম্যাচ গোল শূন্য ড্র। এর অর্থ ২ ম্যাচের সিরিজ ১-০তে জিতে নিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও নেপাল ফুটবল দল।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ডাগ আউটে প্রধান কোচ জেমি ডে-কে পায়নি বাংলাদেশ দল। করোনায় আক্রান্ত কোচ আইসোলেশনে। তার অনুপস্থিতিতে ড্রতেই সন্তুষ্ট থাকলেন দলের ফুটবলাররা। তবে স্বস্তি এটাই দুঃসমং কাটিয়ে সিরিজ জিতেছে দল।
আগের ম্যাচের মতো এখানেও গ্যালারিতে ছিল প্রাণ। করোনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই স্টেডিয়ামে আট হাজার দর্শক উপস্থিতির অনুমতি দেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু এবার সেই দর্শকরা গোলের আনন্দ নিয়ে ফিরতে পারেনি।
এবার রক্ষণভাগ ঠিক রেখেই খেলার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ দল। আক্রমনাত্মক হয়নি নেপালও। এ কারণেই রুদ্ধশ্বাস ফুটবলও দেখা যায়নি। তার মধ্যে খেলার ২৩তম মিনিটে জীবনের পাস থেকে বল পেয়ে চেষ্টা করেছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু তার শট ক্রসবারের সামান্য ওপর দিয়ে যায়।
৫১তম মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষও সুযোগ মিস করেন। এমন আক্ষেপেই ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় কেটেছে। মাঝে ৭২তম মিনিটে হঠাৎ করেই মাঠে ঢুকে পড়েছিলেন এক দর্শক। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামালের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পুলিশ মাঠে নেমে তাকে বের করে আনে।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে দুটি পরিবর্তন নিয়ে এদিন মাঠে নামে স্বাগতিকরা। রিয়াদুল হাসানের জায়গায় ইয়াসিন খান ও গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোর বদলে আশরাফুল ইসলাম রানা। পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে দল সাজায় নেপাল। তাদের তৃপ্তি এটাই অন্তত বাংলাদেশ দলকে আটকে রাখতে পেরেছে।