‘ভালো ফুটবলের জন্য দরকার আধুনিক সুযোগ সুবিধা’
- আসিফ হাসান
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টানা চতুর্থ বারের মতো দায়িত্বে কাজি সালাউদ্দিন প্যানেল। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখতে না পারা সালাউদ্দিন কি পারবেন এবার পুরোনো সব সমালোচনার জবাব দিতে? সে নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম মামুন।
জাতীয় দলের হয়ে এক যুগের বেশি মাঠ মাতিয়েছেন মামুনুল ইসলাম। এর মধ্যে ৫ বছর ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। তাই বাংলাদেশ ফুটবলের অবকাঠামো নিয়ে ভালোই জানা তার। তিনি বলেন ‘আমরা যখন খেলতে এসেছি তখন আর এখনকার মধ্যে অনেক পার্থক্য। যদিও এখনও আমরা আন্তজার্তিক লেভেলে পৌঁছাতে পারিনি সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে। আন্তর্জাতিক লেভেলে ভালো করতে হলে অবশ্যই এসব সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে হবে।’
সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অভিযোগ করা মামুনুলের কি আছে বাফুফেতে? স্বাধীনতার পরে ফেডারেশন গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি একটি আধুনিক জিমনেসিয়াম। ফুটবলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস। সালাউদ্দিন প্যানেল এই ১৩ বছরে কি একটি জিমনেসিয়াম তৈরি করতে পারতো না? উপকারটা যে বাংলাদেশ ফুটবলেরই হতো।
মাঠ নিয়ে কষ্টের শেষ নেই করোই। খেলোয়াড়রা যেমন ঠিকমতো পারর্ফম করতে পারে না, ঠিক তেমনি মাঠের বাইরেও এ নিয়ে হয় হাসাহাসি। সমস্যাটা একদিনের না। তবে কী করেছে বাফুফে? মামুনুল ইসলাম জানান, ‘খেলার জন্য সবার আগে দরকার উপযুক্ত মাঠ, আপনি কোথায় খেলছেন এসব সবাই দেখছে। এ নিয়ে সালাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে আমাদের অনেক কথা হয়েছে। আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম তখনও আমি তার সাথে কথা বলেছি। তবে এটার কোন সুরহ হয়নি।’ মামুনুলের কথা অনুযায়ী এখানে খেলোয়াড়রা বার বার কথা বললেও সেটার কোনো গুরুত্ব দেয়নি ফেডারেশন।
টানা চতুর্থ মেয়াদে ফেডারেশন চালাচ্ছেন এই প্যানেল। আগের বাফুফে আর বর্তমানের মধ্যে পার্থক্য কী এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সেটা এখনও বলা যাচ্ছে না। যতটুকু কাজ শুরু হওয়ার কথা এখনও কিছুই হয়নি। প্রিমিয়ার লিগ শুরু হলো, এখন সেটাও বন্ধ আছে। তাদের কী পরিকল্পনা বা তারা কীভাবে এগোবেন সেটা বোঝা যাবে আরও এক বছর পরে। তখন এই প্যানেলের ২ বছর হবে।’
খেলোয়াড়দের সাথে বাফুফের সম্পর্ক কেমন এ নিয়ে মামুনুল বলেন, ‘আসলে প্লেয়ারদের সাথে পেশাদার সম্পর্ক থাকা উচিত কিন্তু তা কতটুকু হয়েছে সেটা জানি না। আসলে প্লেয়াররা তো চায় সুযোগ সুবিধা। বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এগুলোই আর কি।’
বর্তমানে যেভাবে চলছে তাতে আগামী ৫-১০ বছরে বাংলাদেশ ফুটবলকে আপনি কোথায় দেখতে চান? উত্তরে মামুনুল বলেন, ‘আসলে এটা বলা কঠিন। এটা নির্ভর করবে আপনি কতটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছেন, আপনার লিগের অবস্থা কেমন, সুযোগ-সুবিধা কেমন, বেশি বেশি ম্যাচ আর লিগে সব ধরনের সুবিধা থাকলে অবশ্যই ভালো কিছু সম্ভব।
জাতীয় দল থেকে অবসর নিলেন। আর কতদিন খেলা চালিয়ে যাবেন? মামুনুল বলেন, ‘হ্যাঁ, জাতীয় দলে ১৩ বছর খেলেছি। এটা আমার জীবনে গর্ব করার মতো একটা অংশ। তার প্রায় অর্ধেক সময়টাই অধিনায়ক হিসেবে। এখন অবসরের পরে লিগ খেলছি। সব ঠিক থাকলে আরো ৩-৪ বছর খেলব। তারপর চিন্তা করব কি করা যায়।
গত ১৩ বছর জাতীয় দলে মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেছেন মামুনুল ইসলাম। ৬২ ম্যাচে খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে বড় একটি সময় ছিলেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। এ বছর বিপিএলে খেলছেন আবাহনীর হয়ে।