শেষ হলো ডিআইইউ অ্যাপ কনটেস্ট
- বিজ্ঞান প্রযুক্তি ডেস্ক
সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা ৩৯টি দলের ১০৩ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়াম-৭১ এ দুই দিনব্যাপী (১৯ ও ২০ মে, ২০১৭) ‘ডিআইআই অ্যাপ কনটেস্ট-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ মে) ছিল প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। প্রতিযোগিতায় ৫টি ক্যাটাগরিতে ১৩টি দলকে চ্যাম্পিয়ন, ১ম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয় দুটি দলকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাটা সফটের চেয়ারম্যান মাহবুব জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র্যাংস গ্রæপের প্রধান মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মেহনাজ কবির। এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের ওরিয়েন্টাল সিস্টেমসের প্রধান নির্বাহী তাকাউসি সুজুকি এবং ডাটা সফটের টেকনোলজি ডিরেকটর ও নাসার সাবেক বিজ্ঞানী হাসান রহমান রতন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন এবং পুরো প্রতিযোগিতায় কনভেইনারের দায়িত্ব পালন করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তওহীদ ভুঁইয়া।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাটা সফটের চেয়ারম্যান মাহবুব জামান বলেন, শুধু পুরস্কার পাওয়ার জন্য কিংবা দেশের বাইরে স্কলারশিপের জন্য অ্যাপ উদ্ভাবন করলেই চলবে না, অ্যাপগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। এসময় মাহবুব জামান বলেন, অ্যাপ প্রতিযোগিতায় মিডিয়া পার্টনার, স্পন্সর প্রতিষ্ঠানসহ অনেক সহযোগি প্রতিষ্ঠান থাকে কিন্তু এন্টারপ্রাইজ পার্টনার থাকে না। আয়োজকরা চাইলে ভবিষ্যতে ডাটা সফট এরকম প্রতিযোগিতার প্রন্টারপ্রাইজ পার্টনার হতে আগ্রহী।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি র্যাংস গ্রুপের প্রধান মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন কর্মকর্তা মেহনাজ কবির বলেন, উদ্ভাবনী প্রতিভাকে শুধু প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। মেধাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। উদ্ভাবনগুলোকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মেহনাজ কবির।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম অনেক মেধাবী। এই মেধাবী তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। এসময় তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানান।
প্রতিযোগিতায় এগ্রিকালচার বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল বিটকোড এবং রানার আপ শিরোপা অর্জন করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দল টপিক্যাল পিক্সেল। বিজনেস বিভাগে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেছে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) দল হ্যাক স্ল্যাশ। এই বিভাগে ১ম রানার আপ হয়েছে বুয়েটের দল ভ্যালেরিয়ান স্টিলার ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে খুলনা ইউনিভার্সিটির দল কেইউ কফি কোডারস। ল বিভাগে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেছে মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির দল এমআইএসটি রুমমেটস। এই বিভাগে ১ম রানার আপ হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল সাস্ট হেক্সাকোর ও দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে ড্যফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল থিঙ্ক ডিফারেন্ট। এডুকেশন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (এআইইউবি) দল টিম পাইরেটস। হেলথ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন শিরোপা অর্জন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল এসডব্লিউই হেলথ কেয়ার। এই বিভাগে ১ম রানার আপ হয়েছে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দল টিম স্পার্ক এবং দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে যৌথভাবে এমআইএসটির দল অ্যান্ড্রি ও আইইউবির দল টিম আইইউবি। এছাড়া পিপলস চয়েস ক্যাটাগরিতে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটর দল ভিজুয়াল স্টার।