এক ডজন মুক্ত সফটওয়্যার
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
২০০৪ থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বরের তৃতীয় শনিবার বাংলাদেশসহ বিশ্বের শতাধিক দেশে ‘মুক্ত সফটওয়্যার দিবস’ পালন করা হয়। সেই হিসাবে আজ দিবসটির যুগপূর্তি। দিবসটিকে উপলক্ষ করে সেরা ১২ মুক্ত সফটওয়্যার নিয়ে এই প্রতিবেদন।
ওয়ার্ডপ্রেস
বিশ্বে যত ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে তার প্রায় ৬০ শতাংশে সিএমএস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ওয়ার্ডপ্রেস’। ইয়াহু, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ফোর্ড, সিএনএন, নাসা, টেকক্রাঞ্চ, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকসহ বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি। এ পর্যন্ত প্রায় ছয় কোটি ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেসে তৈরি করা হয়েছে। কোডিং সম্পর্কে ধারণা না থাকলেও ওয়ার্ডপ্রেস থিম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব। এতে সময়ও লাগে কম। ওয়ার্ডপ্রেসের থিম ডিরেক্টরিতে থাকা কয়েক হাজার থিম থেকে পছন্দেরটি বেছে নিয়ে সাইট তৈরি করা যায়। আবার কোনো থিমকে পরিবর্তন (কাস্টমাইজ) করে পছন্দমতো ডিজাইনও করে নেওয়া সম্ভব। এ কাজের জন্য অনলাইনে রয়েছে কয়েক লাখ প্লাগ-ইন। সহজ ইউজার ইন্টারফেস, ঝামেলামুক্ত কনফিগারেশন ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের উপযোগী হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইনের জন্য প্রয়োজন হয় এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট, জেকুয়েরি ইত্যাদি। আর ফাংশনালিটি যোগ করার জন্য প্রয়োজন হয় পিএইচপি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। সঙ্গে জানা থাকতে হবে ওয়ার্ডপ্রেসের নিজস্ব তৈরি প্রণালি। আপনি যত ভালো ডিজাইন জানবেন আপনার থিমটি তত সুন্দর হবে এবং আপনি যত ভালো পিএইচপি ও ওয়ার্ডপ্রেস থিমের গঠনতন্ত্র জানবেন আপনি তত বেশি থিম অপশন যোগ করতে পারবেন। সম্প্রতি ওয়ার্ডপ্রেসের ৪ দশমিক ৬ দশমিক ১ সংস্করণটি উন্মুক্ত করা হয়েছে।
ডাউনলোড লিংক : wordpress.org/download
একটি পূর্ণাঙ্গ ই-কমার্স সাইট তৈরি করতে সাধারণত কয়েক মাস লাগলেও ‘ম্যাজেন্টো’ দিয়ে কয়েক দিনেই তা করা যায়। ই-কমার্স সাইটে পণ্য নির্বাচন করার জন্য যেসব বিষয় থাকা দরকার তার সবই আছে ম্যাজেন্টোতে। পণ্যের একাধিক ছবি যুক্ত করা ও জুম করে দেখার পাশাপাশি রয়েছে পণ্যের গুণগত মান বর্ণনা (রিভিউ), সমগোত্রীয় পণ্যের বর্ণনা, তথ্য ই-মেইল করে আগ্রহীকে জানানোর সুবিধাও। রয়েছে ‘মিডিয়া ম্যানেজার’, যা দিয়ে পণ্যের ছবির আকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিবর্তন ও তাতে জলছাপ দেওয়া যায়। সাইটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য সেলস, ট্যাক্স, সর্বাধিক বিক্রি হওয়া পণ্যের নাম, স্টক, কুপন—এ ধরনের রিপোর্ট দেখার ব্যবস্থাও আছে। ম্যাজেন্টোর সঙ্গে পেপাল, অ্যামাজন পেমেন্ট, গুগল চেকআউট, অথরাইজ ডটনেটের মতো সমাদৃত সব পেমেন্ট গেটওয়ে যুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি ব্যবস্থা রয়েছে ক্রেডিট কার্ড, চেক ও মানি অর্ডারেরও। এ ছাড়া ম্যাজেন্টো দিয়ে সহজেই এম-কমার্স বা মোবাইল কমার্স চালু করা যায়। অর্থাৎ মোবাইল ফোনে সাইট ব্রাউজ করলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল ফোনকে চিনতে পারে এবং সে অনুযায়ী সাইটের লে-আউটকে মোবাইলের জন্য উপযুক্ত করে তোলে। লেনোভো, থ্রিএম, স্যামসাংয়ের মতো বিশ্বের অনেক স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ম্যাজেন্টো ব্যবহার করে।
ডাউনলোড লিংক : www.magentocommerce.com/download
জুমলা
ওয়ার্ডপ্রেসের মতোই জুমলা তৈরি হয়েছে পিএইচপি, মাইএসকিউএল, এমএসএসকিউএল, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিংয়ের (ওওপি) সমন্বয়ে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট প্রথম বাজারে আসে জুমলা। কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হলেও জুমলার ব্যবহার শুধু তথ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন এক্সটেনশন (অতিরিক্ত প্রোগ্রাম) যোগ করে জুমলার তৈরি ওয়েবসাইটকে ভিন্ন মাত্রা দেওয়া যায়। জুমলার নিজস্ব ‘এক্সটেনশন ডিরেক্টরি’তে কয়েক হাজার বিনা মূল্যের এক্সটেনশন রয়েছে। এগুলো extensions.joomla.org সাইট থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যায়।
জুমলায় এক্সটেনশন যুক্ত করা সহজ, অনেকটা সফটওয়্যার ইনস্টল করার মতোই। এক্সটেনশনের জিপ ফাইলকে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্যানেল থেকে আপলোড করে দিলেই হবে। জনপ্রিয় এই সিএমএস ‘কম্পোনেন্ট’, ‘মডিউল’, ‘প্লাগ-ইন’, ‘টেমপ্লেট’ ও ‘ল্যাঙ্গুয়েজ’—এই পাঁচ ধরনের এক্সটেনশন সমর্থন করে। মডেল ভিউ কন্ট্রোলার ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের মাধ্যমে তৈরি জুমলার ৩ দশমিক ৬ দশমিক ২ সংস্করণ এখন বাজারে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ডাউনলোড লিংক : www.joomla.org
মূলত কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম হলেও মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইসেও চলে উবুন্টু। এটি ডেবিয়ান লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি প্রচলিত প্রবাদ উবুন্টু থেকে এর নামকরণ করা হয়েছে। এই শব্দের অর্থ হলো ‘অপরের জন্য মানবতা’। উবুন্টু নিয়মিতভাবে অপারেটিং সিস্টেম প্রকাশ করে আসছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে তৈরি করা এই অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারযোগ্যতা, ব্যবহারের স্বাধীনতা, নিয়মিত প্রকাশ ও সহজ ইনস্টলেশনের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। ওয়েবভিত্তিক পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ডেক্সটপ লিনাক্স ব্যবহারকারীদের প্রায় ৫০ শতাংশ উবুন্টু ব্যবহার করে। সার্ভার নিয়ন্ত্রণেও এর ব্যবহার বহুল।
বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার প্যাকেজের ওপর ভিত্তি করে উবুন্টু তৈরি। এর বেশির ভাগই ফ্রি সফটওয়্যার লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশিত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্যানোনিকাল প্রতি ছয় মাস পর পর উবুন্টুর নতুন সংস্করণ প্রকাশ করে থাকে। সাধারণভাবে অপারেটিং সিস্টেমটি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে প্রকাশের পরবর্তী দুই বছর পর্যন্ত নিরাপত্তা ত্রুটি সংশোধন ও সফটওয়্যারগুলোর ছোট আপডেটগুলো প্রকাশ করা হয়। বর্তমানে কম্পিউটারের জন্য উবুন্টুর সর্বশেষ সংস্করণ হলো ১৬ দশমিক ০৪ দশমিক ১ এলটিএস।
ডাউনলোড লিংক : http://www.ubuntu.com/download/
কম্পিউটারে সাধারণত মাইক্রোসফট অফিসের সাহায্যে ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষণ করা হয়। তবে এর দাম বেশি হওয়ায় অনেকে মাইক্রোসফটের পাইরেটেড কপি ব্যবহার করে। এসব ঝামেলা এড়িয়ে ওপেন সোর্স অ্যাপ্লিকেশন ‘ওপেন অফিস’ দিয়েও ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষণ করা যায়। মাইক্রোসফট অফিসের প্রায় সব সুবিধাই এতে আছে। ইন্টারফেস, শর্টকাট কি, ওয়ার্ড প্যাড, নোট প্যাড ইত্যাদি সুবিধা দুই অ্যাপ্লিকেশনেই আছে। এ ছাড়া ওপেন অফিস থেকে সরাসরি পিডিএফ ফাইল তৈরি করা যায়। লিনাক্সের পাশাপাশি উইন্ডোজ ও ম্যাকেও ওপেন অফিস ব্যবহার করা যায়।
ডাউনলোড লিংক : http://www.openoffice.org/download
দ্রুপাল
বিশ্বের মোট ওয়েবসাইটের প্রায় ২ শতাংশ দ্রুপালে তৈরি। প্রায় ১০ লাখ ব্যবহারকারী ও ডেভেলপারের রক্ষণাবেক্ষণে তৈরি হয়েছে দ্রুপাল। সিএমএসটি পিএইচপি দিয়ে তৈরি। অনলাইন সার্ভারে দ্রুপাল ইনস্টল করে ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এ সিএমএসে পরিসংখ্যান ও লগইন, উন্নতমানের সার্চ, ব্লগ, ফোরাম ও পোল তৈরি করা যায়। এর বিল্টইন এডিটর না থাকলেও প্রয়োজনীয় তথ্য, ছবি, ভিডিও যোগ করার জন্য অনেক এক্সটেনশন রয়েছে। এক্সটেনশনগুলো ইনস্টল করে প্রয়োজনীয় ফিচার যোগ করা যায়। সাধারণ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রায় সব মৌলিক বৈশিষ্ট্য যেমন ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেন্যু ব্যবস্থাপনা, আরএসএস ফিড, সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ব্যবস্থা রয়েছে এতে। দ্রুপালের কমিউনিটি কন্ট্রিবিউটেড অ্যাড-অন ২৫ হাজারেরও বেশি। এগুলো ‘কন্ট্রিবিউটেড মডিউলস’ নামে পরিচিত। রয়েছে আধুনিক প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস। পিএইচপি ও ডাটাবেইস সমর্থিত ওয়েব সার্ভারে এটি চালানো যায়।
ডাউনলোড লিংক : https://drupal.org
ই-কমার্স সাইট তৈরির আরেক শক্তিশালী মাধ্যম ‘ওপেনকার্ট’। এতে এমন অনেক মডিউল আছে যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের বিভাগ অনুযায়ী লেখা ও ছবি যুক্ত করা যায়। এতে ডিসকাউন্ট কুপন সিস্টেম, গিফট সার্টিফিকেট, পণ্য রেটিং সুবিধা, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, গেস্ট ভিজিটরদের পণ্য প্রদর্শন সুবিধা, ইমেজ ম্যানেজমেন্ট, মাল্টিপল কারেন্সি ও ট্যাক্স রেট সাপোর্ট, পেমেন্ট সিস্টেমসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে হাজারও ওপেনকার্ট থিম রয়েছে। ফিচার যুক্ত করার জন্য আছে অসংখ্য ফ্রি ও প্রিমিয়াম মডিউল। ওপেনসোর্স হওয়ায় এতে যেকোনো ভাষা ব্যবহার করা যায়।
১৯৯৯ সালে সাধারণের জন্য উন্মুক্ত এই প্ল্যাটফর্মটি পিএইচপি, মাইএসকিউএল ও গুগল কোডের মাধ্যমে তৈরি। বাজারে এখন ওপেনকার্টের ২ দশমিক ৩ দশমিক ০ দশমিক ২ সংস্করণ চলছে।
ডাউনলোড লিংক : www.opencart.com
অ্যাবি ওয়ার্ড
এটি বেসিক ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের আরেক বিকল্প এই ‘অ্যাবি ওয়ার্ড’। অ্যাবিকোলাব নামের কোলাবোরেশন ফিচারের মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে একটি ফাইল সম্পাদনা করতে পারে। রয়েছে টেক্সট স্টাইল, বুলেট, মেইল মার্জ, মার্জিন টেবিলসহ নানা ফিচার। বেসিক ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের এই সফটওয়্যারে রয়েছে একটি অতিরিক্ত টুলবার, যেখানে লাইনিং, সাবস্ক্রিপ্ট, সুপারস্ক্রিপ্ট, প্যারাগ্রাফ স্পেসিং, লাইন স্পেসিং, হেডার, ফুটার ইত্যাদি যুক্ত করা যায়। দেখতে হুবহু মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের আগের সংস্করণগুলোর মতো।
ডাউনলোড লিংক : www.abisource.com/download
থান্ডারবার্ড ব্যবহার করে একাধিক অ্যাকাউন্ট থেকে সহজে ই-মেইল দেখা যায়। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও এতে ই-মেইল পড়া ও লেখা যায়। থান্ডারবার্ডের জন্য অনেক অ্যাড-অন রয়েছে। অ্যানিগমেল হচ্ছে তেমনই একটি অ্যাড-অন, যা ব্যবহার করে আপনি সংকেতের মাধ্যমে ই-মেইল আদান-প্রদান করতে পারবেন। সাধারণত ই-মেইল লেখা আকারেই পাঠানো হয়। কিন্তু এটি ব্যবহার করলে আপনি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করে ই-মেইল পাঠাতে পারবেন। এ ছাড়া লাইটিং অ্যাড-অন আপনাকে থান্ডারবার্ডে ইভেন্ট ক্যালেন্ডার করতে সাহায্য করবে। আদান-প্রদান করা যায় এমন ক্যালেন্ডার পরস্পর থেকে দূরে বসবাসকারী কর্মীদের সংগঠিত করতে বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি এর মাধ্যমে কাজ বণ্টন করতে পারবেন, যা আপনার প্রকল্প পরিচালনার কাজটিকে বেশ সহজ করে দেবে। সফটওয়্যারটি লিনাক্স ছাড়াও উইন্ডোজ, ম্যাক, ওপেন সোলারিসসহ বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যায়। চার-পাঁচটি ই-মেইল আইডি ব্যবহার করার জন্য এটি অনেক উপকারী। অর্ধশতাধিক ভাষায় পাওয়া যায় মজিলা থান্ডারবার্ড। থান্ডারবার্ডের সব সুবিধা বাংলা ভাষায় ব্যবহার করা যায়।
ডাউনলোড লিংক : https://www.mozilla.org/en-US/thunderbird/
ন্যুক্যাশ
ব্যবসায় বা ব্যক্তিগত হিসাব সংরক্ষণে দেশের বাজারে বেশ কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এগুলো ৩০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। তবে টাকা খরচ করতে না চাইলে ওপেন সোর্সভিত্তিক সফটওয়্যার ন্যুক্যাশ ব্যবহার করা যায়। এটি বাজারের অন্য হিসাবরক্ষণ সফটওয়্যারের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। ওপেন সোর্সভিত্তিক হওয়ায় এটি বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। কম্পিউটারে ইনস্টলের ঝামেলায় যেতে না চাইলে এর বহনযোগ্য সংস্করণটিও পাওয়া যায়। ছোট হওয়ায় বেশির ভাগ বহনযোগ্য অ্যাপ্লিকেশনেই বেশি ফিচার থাকে না। তবে এদিক দিয়েও ন্যুক্যাশ ব্যতিক্রম। এটি চালু হতে একটু সময় নিলেও চালু হওয়ার পর দ্রুত যেকোনো হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়। এতে রয়েছে কাউন্টের কারেন্সি নির্ধারণ, সিম্পল চেক বুক, বিজনেস অ্যাকাউন্ট, কার লোন, চাইল্ড কেয়ার, কমন অ্যাকাউন্ট, ফিক্সড অ্যাসেটসহ নানা ফিচার। রয়েছে বিভিন্ন সাব ক্যাটাগরি। এ ছাড়া অনলাইন ব্যাংকিং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় ফিচারও রয়েছে এতে।
ডাউনলোড লিংক : https://www.gnucash.org
মজিলা ফায়ারফক্স একটি ওপেন সোর্স ওয়েব ব্রাউজার। মজিলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সারা বিশ্বের অনেক প্রোগ্রামারের প্রচেষ্টায় এটি তৈরি করা হয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় অনেকে ফায়ারফক্স ব্যবহার করে। ২০০৪ সালের ৯ নভেম্বর ফায়ারফক্স প্রথম বাজারে আসে। মাত্র ৯৯ দিনের মধ্যে ব্রাউজারটি ডাউনলোড হয় আড়াই কোটিবার। যা ব্রাউজার ডাউনলোডে এখন পর্যন্ত একটি রেকর্ড। ফায়ারফক্সে আছে পপ-আপ বন্ধ করা, ট্যাব করে পৃষ্ঠা দেখা ও এর কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য এক্সটেনশন ব্যবহারের সুযোগ। বিভিন্ন থিম যোগ করে ফায়ারফক্সকে পরিবর্তিত করে নেওয়া যায়। কম্পিউটার ও মোবাইলে ব্রাউজারটি ব্যবহার করা যায়।
ডাউনলোড লিংক : https://www.mozilla.org/en-US/firefox/
ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার
উন্মুক্ত মিডিয়া প্লেয়ার সফটওয়্যার ভিএলসি। জনপ্রিয় এ ওপেন সোর্স সফটওয়্যারটি বিভিন্ন ধরনের ডাটা কম্প্রেশন ও ফাইল ফরম্যাট সমর্থন করে—যেমন ডিভিডি-ভিডিও, ভিডিও সিডি ও স্ট্রিমিং ভিডিও। এটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কের স্ট্রিমিং ভিডিও চালাতে পারে। ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু করা ভিএলসি সফটওয়্যারটি এখন পর্যন্ত ডাউনলোড হয়েছে সাত কোটিরও বেশিবার। প্রায় সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে এটি।
ডাউনলোড লিংক : https://www.videolan.org/vlc