লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ মাইক্রোসফট
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক
২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে ১০০ কোটি যন্ত্রে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল শীর্ষ সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট করপোরেশন। তবে এক বিবৃতিতে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তাদের সে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হবে না। এর মূল কারণ হিসেবে স্মার্টফোন ব্যবসায় ধীর গতির কথা উল্লেখ করা হয়। অ্যান্ড্রয়েড কিংবা অ্যাপলের তুলনায় স্মার্টফোনের বাজারে উইন্ডোজের অবস্থান বেশ করুণ। উইন্ডোজ ফোনের নতুন ক্রেতা খুঁজে পাওয়াও দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। ক্রেতাদের নিয়ে গবেষণা করে এমন প্রতিষ্ঠান কান্টার ওয়ার্ল্ড প্যানেলের হিসাব অনুযায়ী স্মার্টফোনের দুটি বড় বাজার, উত্তর আমেরিকা ও চীনের যথাক্রমে ১.৬ শতাংশ ও ০.৪ শতাংশ উইন্ডোজ ফোনের দখলে।
গত বছরের জুলাই মাসে বাজারে ছাড়া উইন্ডোজ ১০ বর্তমানে ৩৫ কোটি কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হচ্ছে। ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং গেমিং কনসোল এক্সবক্স ওয়ানে চলার মতো করে তৈরি করা হয়েছে এটি। বাজারে ছাড়ার কিছুদিনের মধ্যেই ১০০ কোটির লক্ষ্য নির্ধারণ করে মাইক্রোসফট। লক্ষ্য নির্ধারণের সময় প্রতিষ্ঠানটি আশা করেছিল বছরের অন্তত পাঁচ কোটি উইন্ডোজ ফোন বিক্রি করবে তারা। ২০১৪ সালে ৭২০ কোটি ডলারে নকিয়ার অধিগ্রহণ করলেও কয়েক দফায় মুঠোফোন বিভাগের কর্মী ছাঁটাই করেছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট বলছে স্মার্টফোন ব্যবসায়ে ‘বেশি গুরুত্ব’ দিতে গিয়েই ১০০ কোটির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে। তবে প্রযুক্তিভিত্তিক পোর্টাল আর্স টেকনিকার বিশেষজ্ঞ পিটার ব্রাইট বলছেন, অদূর ভবিষ্যতে উইন্ডোজ ১০-এর বিক্রি কমে যাবে। কারণ হিসেবে কম্পিউটারের বিক্রি কমে যাওয়া এবং বিনা মূল্যে উইন্ডোজ ১০-এ হালনাগাদ করার সুবিধার মেয়াদ শেষের কথা বলেন তিনি। এদিকে বিনা মূল্যে হলেও অনেকটা জোর করে হালনাগাদ করার বিষয়টা অনেক ব্যবহারকারী সহজভাবে না নেওয়ায় নতুন উইন্ডোজে হালনাগাদ করতে অনীহা প্রকাশ করেন তাঁরা।