ফেসবুক-ইউটিউব দ্বৈরথ : এগিয়ে কে?
- ধ্রুব ব্যানার্জী
ফেসবুক নাকি ইউটিউব? এমন প্রশ্নের উত্তরে দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যান প্রায় সকল ধরনের ইটারনেট ব্যবহারকারীরা।
যুগের পরিবর্তনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে মার্ক জুকারবার্গের ফেসবুক। অন্যদিকে ভিডিও কন্টেন্টের মাধ্যমে দর্শকদের চাহিদা পূরণ করতে পিছিয়ে নেই গুগল্ভিত্তিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ইউটিউবও। প্রতিনিয়ত নিত্যনতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজনের মাধ্যমে দর্শকদের আরও আকৃষ্ট করে চলেছে দু’টি প্রতিষ্ঠানই।
দর্শক প্রীতির ভিত্তিতে ফেসবুকের চেয়ে এগিয়ে ইউটিউব। আমাজনের ওয়েবসাইট র্যাংকিং বিশ্লেষণকারী ওয়েবসাইট আলেক্সা ডট কম (alexa.com) এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ১২২ মিলিয়ন (১২ কোটি ২০ লাখ) মানুষ ইউটিউব ব্যবহার করেন। প্রতিজন ব্যবহারকারী গড়ে ১৯ মিনিট ২০ সেকেন্ড ব্যবহার করেন ওয়েবসাইটটি।
মোট ব্যবহারকারীর প্রায় ১৪.৮ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে হতে, ৯.৭ শতাংশ ভারত হতে এবং বাকি ব্যবহারকারীর অন্যসকল দেশের। প্রতিমাসে প্রায় ২.৩ বিলিয়ন মানুষ একবার হলেও ইউটিউব ব্যবহার করে থাকেন। এছাড়াও, ইউটিউব প্রিমিয়ামের ৩০ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। ২০২০ সালে ইউটিউবের আয় ছিল ১৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো প্রায় ৭৭ শতাংশ ইউটিউব ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের কৌতুক দেখতে পছন্দ করেন।
অপরপক্ষে, সারাবিশ্বে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৭০ মিলিয়ন (২৭ কোটি) হলেও সচল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম। তাই আলেক্সা র্যাংকিং-এ ওয়েবসাইটটির অবস্থান ৭ নম্বরে।
প্রতিদিন প্রতি ব্যবহারকারী গড়ে ১৮ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড সময় ফেসবুকে অতিবাহিত করে।
ফেসবুকের সর্বোচ্চ ব্যবহারকারীদের বসবাসও যুক্তরাষ্ট্রে। যা মোট ব্যবহারকারীর ২৪.২ শতাংশ। ২০২০ এ ফেসবুকের আয় ইউটিউবের চেয়ে অনেক বেশি। তা প্রায় ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
নেটিজেনদের মন্তব্য, সময়ের বিবর্তনে ফেসবুক এবং ইউটিউব প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে, হয়ে উঠেছে অপরিহার্য এক অংশ। ভবিষ্যতের অনলাইন দুনিয়ায় এই দুই ওয়েবসাইটের প্রতিযোগিতা বাড়তেই থাকবে, এরা হয়ে উঠবে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী।
প্রতিবেদকঃ শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি