ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ড্রোন
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং যুক্তরাজ্য সরকার যৌথভাবে যান চলাচল (ট্রাফিক) ব্যবস্থাপনায় চালকহীন বিমান (ড্রোন) ব্যবহারের ব্যাপারে কাজ শুরু করেছে। ড্রোনের সহায়তায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের স্ট্যাট ফর ট্রান্সপোর্ট বিভাগ।
৫০০ ফুট দূরত্ব থেকে বাণিজ্যিকভাবেই দূর থেকে নিয়ন্ত্রিত এ ড্রোন ট্রাফিক নিয়ে যেসব তথ্য সংগ্রহ করবে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনলাইন ডেটাবেইসে যুক্ত হবে। এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের স্ট্যাট ফর ট্রান্সপোর্টের আন্ডার সেক্রেটারি আহমাদ তারিক বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবেই যুক্তরাজ্য সরকার নাসার সঙ্গে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি নিতে ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, প্রযুক্তির সহায়তায় এ পদ্ধতি চালু হলে পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় দারুণ উন্নতি আসবে।
ড্রোনের নানা বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে নাসা। সংস্থাটি ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ই-কমার্স সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আমাজন, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভেরিজোনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আকাশপথে ড্রোন পাইলটদের নিরাপদ চলাচল বিষয়ে কাজ করার পাশাপাশি ডেটাবেইস তৈরির ব্যাপারে গবেষণা করছে। আর এ উদ্যোগে যুক্তরাজ্যে সরকারিভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ড্রোন চালুর বিষয়টি যুক্ত হয়েছে বলে নাসা জানিয়েছে।
গবেষকদের মতে, ড্রোন পরিচালনার ক্ষেত্রে যদি তথ্যগুলো ডেটাবেইসে সংরক্ষণ এবং সে বিষয়ে কাজ করা যায় তাহলে সত্যিকার অর্থেই নিউইয়র্ক, শিকাগো কিংবা সানফ্রান্সিসকোর মতো শহরে দেখা যাবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসায়ীদের সহায়তায় হাজার হাজার ড্রোন উড়ছে। তবে এ জন্য সরকারকে গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে বলেও মনে করছেন গবেষকেরা।
২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কাজ শুরু করবে ড্রোন। গত বছর প্রায় ৬৭০টি বাণিজ্যিক ড্রোন পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্যের সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। পুরো বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ ড্রোন-সংক্রান্ত নানা কার্যক্রমে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারের বেশি চাকরির ক্ষেত্র তৈরি হবে।
দ্য টেলিগ্রাফ