গুগলের ১৫ গিগাবাইট
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
প্রতিনিয়ত ই-মেইল চালাচালির সময় লেখার সঙ্গে ছবি ও নথি যুক্ত করা হয়। দিনদিন ই-মেইলের আদান-প্রদান বেড়েই চলছে। কিন্তু গুগলে এ জন্য পাওয়া যায় ১৫ গিগাবাইট জায়গা। প্রতিদিনের জমা হওয়া ই-মেইল, নথি ও ছবির কারণে হয়তো অনেকখানি জায়গাই (স্টোরেজ) ব্যবহার করা হয়ে গেছে। বাকি জায়গাটা শেষ হলেই পড়তে হবে বিপত্তিতে। তবে কিছু বিষয় জানা থাকলে এবং একটু সচেতনভাবে ব্যবহার করলে সহজেই বিপত্তি এড়ানো যাবে এবং মূল্যবান ই-মেইল কিংবা নথিটি হারাতে হবে না।
কোনো কারণে নির্ধারিত ১৫ গিগাবাইট শেষ হয়ে গেলে যেসব সমস্যায় পড়তে হবে:
* গুগল ড্রাইভে কোনো ফাইল রাখা যাবে না
* ছবির মূল ফাইল আপলোড করা যাবে না
* কেউ ই-মেইল পাঠালে তা প্রেরকের কাছে ফেরত যাবে
এখানে জেনে রাখা ভালো, গুগল ড্রাইভ বা ডকস ব্যবহার করে কোনো নথি তৈরি করলে তার জন্য কোনো অতিরিক্ত জায়গা খরচ হবে না। শুধু ড্রাইভে আপলোড করা নথির ক্ষেত্রে জায়গার প্রয়োজন হবে। গুগল ফটোর ক্ষেত্রে সংকুচিত (কম্প্রেসড) অবস্থায় ছবি রাখলে তার জন্য কোনো জায়গা প্রয়োজন হয় না। এ জন্য গুগল ফটোজে গিয়ে সেটিংস অপশন থেকে হাই-কোয়ালিটি নির্ধারণ করতে হবে। কিন্তু মূল আকারে ছবি রাখলে সে জন্য জায়গা খরচ হবে।
ই-মেইলের বেলায় ইনবক্স ও সেন্ট মেইল, ট্র্যাশ ও স্প্যামের টেক্সট ও সংযুক্তি (অ্যাটাচমেন্ট) সবকিছুতেই জায়গার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ রাখলে জায়গা বাঁচানো যাবে:
* অপ্রয়োজনীয় কিন্তু বেশি জায়গা নিয়েছে এ ধরনের ই-মেইল কিছুদিন পরপর মুছে ফেলুন
* একই নথি একাধিক ই-মেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিবার নতুনভাবে যুক্ত না করে ফরওয়ার্ড করুন
* ই-মেইলের বড় কোনো ফাইল এলে তা আপনার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে ই-মেইলটি মুছে ফেলতে পারেন
এরপরও যদি বেশি জায়গা লাগে, তবে ৩০ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ কেনার সুযোগ আছে গুগলে।