‘বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণার ৭১তম বর্ষপূর্তি’ উদযাপন
- সংবাদ ডেস্ক
বিশ্ব মানবাধিকার ঘোষণার ৭১তম বর্ষপূর্তি ও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে দিনব্যাপী কুইজ প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এস এম আবুল কালাম আজাদ। দ্বিতীয় পর্বে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এ এম এম হামিদুর রহমান, সহযোগী ডিন অধ্যাপক ড. ফারহানা হেলাল মেহতাব প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, মানবাধিকারের মূল বিষয়গুলো পৃথিবীর প্রায় সব দেশের সংবিধানেই লিপিবদ্ধ রয়েছে। তারপরও পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন থেমে নেই। সঙ্গত কারণেই আমাদেরকে মানবাধিকার দিবস পালন করতে হয় যাতে মানুষ মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হতে পারে। এসময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান মানবাধিকার দিবস পালন করার জন্য।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য এ দেশের ৩০ লাখ মানুষ জীবন বিসর্জন দিয়েছে। দেশেকে স্বাধীন করেছে। তারপর সংবিধান প্রণয়ন করেছে। তারপরও কি সব জায়গায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? হয়নি। এজন্য আমাদেরকে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম।
সংবিধানে জনগণের অঙ্গীকার নামে একটি অধ্যায় রয়েছে উল্লেখ করে খ্যাতিমান এই আইনজীবী বলেন, আমরা অনেকেই এই অঙ্গীকার সম্পর্কে জানি না। পাঠ করি না। হৃদয়ে ধারণ করি না। এই অঙ্গীকারনামা সবাইকে পাঠ করার আহ্বান জানান ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম। এ সময় তিনি উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে জনগণের অঙ্গীকারনামা পাঠ করান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতা, উপস্থিত বক্তৃতা, আলোকচিত্র প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম।