‘আগামীর পৃথিবী হবে ম্যটেরিয়ালের পৃথিবী’

‘আগামীর পৃথিবী হবে ম্যটেরিয়ালের পৃথিবী’

  • সংবাদ ডেস্ক

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ম্যাটেরিয়াল ফর দ্য ফিউচার’ সেমিনারের সেশন চেয়ার হিসেবে সেশন পরিচালনা করেছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান। গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে ‘ম্যাটেরিয়াল ফর দ্য ফিউচার’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নোবেলজয়ী পদার্থবিদ এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. কনস্তান্তিন নভসেলভ। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক শাহাদাত প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থানকালে ড. কনস্তান্তিন নভসেলভ বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বিভিন্ন পদার্থের ভূমিকা অনন্য। ভবিষ্যতে তৈরি হবে স্মার্ট সিটি, বদলে যাবে স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও পয়োনিষ্কাশনে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, অকল্পনীয়ভাবে বাড়বে রোবটিক্সের ব্যবহার। আর এসব কিছুর মূলে কাজ করবে পদার্থ ও পদার্থবিদ্যা। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ও টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিপ্লব সাধিত হবে বলে তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেন।

এ সময় বাংলাদেশের প্রশংসা করে এই নোবেলজয়ী পদার্থবিদ বলেন, বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিতে অবিশ্বাস্য উন্নতি করছে। বিজ্ঞানের মৌলিক শাখাতেও এই দেশ উন্নতি করবে তাতে সন্দেহ নেই। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা সত্যিই দূরহ কাজ। ইউজিসি সেই কঠিন কাজ বেশ বীরত্বের সাথেই করেছে। এ জন্য তিনি ইউজিসিকে ধন্যবাদ জনান।

সেশন চেয়ার হিসেবে ড. মো. সবুর খান বলেন, আগামীর পৃথিবী হবে ম্যটেরিয়ালের পৃথিবী। সময় যত যাবে ততই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়বে, রোবটিক্সের ব্যবহার বাড়বে, টেলিকমিউনিকেশনের ব্যবহার বাড়বে। সুতরাং এখন থেকেই এসব খাতে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তা না হলে দেশ হিসেবে আমরা সারা বিশ্ব থেকে পিছিয়ে পড়ব।

ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, বাংলাদেশকে একটি ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ড্যাফোডিল পরিবার তার নিজের জায়গা থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। শুরু থেকেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্রাবস্থাতেই বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়া হয় যাতে তারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির শিক্ষাটা হাতে কলমে পায় এবং জ্ঞান বিজ্ঞানের সকল ক্ষেত্রে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হয়। 

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে আজ থেকে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী (১০-১১ ডিসেম্বর) ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভলিউশন অ্যান্ড বিয়ন্ড (আইসিফোরআইআর-২০২১)’। আন্তর্জাতিক এই সম্মেলনে গোল্ড স্পন্সর হিসেবে অংশ নিয়েছে ড্যাফোডিল পরিবার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষপূর্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে। ইউজিসি মনে করে, এ ধরনের সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে সারা বিশ্বের গবেষকদের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষকদের সম্পর্ক তৈরি হবে এবং বাংলাদেশে উন্নত গবেষণা ও শিক্ষার পরিবেশ তৈরি হবে।

Sharing is caring!

Leave a Comment