ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘জীবিকা চাঁদপুর-৩ প্রকল্প’ উদ্বোধন

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘জীবিকা চাঁদপুর-৩ প্রকল্প’ উদ্বোধন

  • সংবাদ ডেস্ক

ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে চাঁদপুরে আজ রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ‘জীবিকা চাঁদপুর-৩ প্রকল্প’ উদ্বোধন ও তহবিল হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু এবং চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল ও জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আসাদুল্লাহ কাহাফ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্পের অধীনে ১ হাজার পরিবারের মাঝে ৬২ লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, মানুষকে সহায়তা করার গতানুগতিক প্রথা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন ও কার্যকরী এক পদ্ধতির মাধ্যমে জীবিকা প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। সেই পদ্ধতি হচ্ছে, অসহায় মানুষকে শুধু আর্থিক সহায়তা দিয়েই দায়িত্ব শেষ করা নয়, বরং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। ২০০৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প থেকে সহায়তা নিয়ে অনেকেই স্থায়ীভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। জীবিকা প্রকল্প সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে মন্তব্য করেন ড. মো. সবুর খান। এসময় তিনি চাঁদপুরের সম্পদশালী ব্যক্তিদেরকে জীবিকা প্রকল্প থেকে শিক্ষা নিয়ে জাকাতের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।

ড. মো. সবুর খান আরও বলেন, বিগত ৮ বছরে জীবিকা প্রকল্পের সহায়তা নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী তাদের পড়ালেখা শেষ করে এখন বিসিএস ক্যাডার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ সমাজের বিভিন্ন সম্মানজনক পেশায় যুক্ত হয়েছেন। আজ যারা জীবিকা প্রকল্প থেকে আর্থিক সহায়তা গ্রহণ করলেন তাদের সন্তানরাও একদিন পুরো বাংলাদেশের দায়িত্ব নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. মো. সবুর খান। তিনি বলেন, ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে তার মৃতুর পরও সকল প্রকল্প চালু থাকবে।

অনুষ্ঠানে ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেকেই ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে জীবিকা প্রকল্প একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ। এই প্রকল্প থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে অনেক অসচ্ছ¡ল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। তারা আজ সমাজের বুকে সাবলম্বী। এসময় তিনি জীবিকা প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু আরও বলেন, বাংলাদেশ স্বল্পনোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। আমরা সবাই যদি একসঙ্গে দেশের জন্য কাজ করি তাহলে দেশ খুব দ্রুতই উন্নত দেশে পরিণত হবে।

চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ড্যাফোডিল ফাউন্ডেশনের জীবিকা চাঁদপুর প্রকল্প বহু মানুষের জীবনমান বদলে দিয়েছে। যারা অসহায়ভাবে জীবনযাপন করতেন তারা আজ সাবলম্বী। যে শিক্ষার্থীরা অর্থের অভাবে পড়ালেখা করতে পারত না তারা এখন কেউ বিসিএস ক্যাডার, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সুতরাং জীবিকা প্রকল্প যে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনি জীবিকা প্রকল্পের আরও সাফল্য কামনা করেন।

জীবিকা প্রকল্পের পাশে চাঁদপুর পৌরসভা সব সময় রয়েছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে মেয়র আরও বলেন, এটি একটি সামাজিক উদ্যোগ। এধরনের সামাজিক উদ্যোগের পাশে চাঁদপুর পৌরসভা সব সময় রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে যদি একজন মানুষও উপকৃত হয় তবে সেটিই হবে আমাদের স্বার্থকতা।

Sharing is caring!

Leave a Comment