ইউরোপে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ

ইউরোপে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

বাংলাদেশের সরকারী-বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সরকারী ৩৬ টি মেডিক্যাল কলেজে আসন রয়েছে ৪০৬৮। বেসরকারী ৫৪টিতে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার। ভর্তি পরীক্ষায়ই উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৯ হাজার। অর্থাৎ সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আসন স্বল্পতার কারণে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী দেশের কোন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারছে না। এই বাস্তবতায় ইউরোপে এমবিবিএস পড়ার অপার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য। ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ১৫০ বছরের পুরনো দোনেটস্ক ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিএনএমইউ) তৈরি হয়েছে এই সুযোগ। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৭টি বিভাগ রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার র‌্যাংকিং অনুযায়ী এটির অবস্থান বিশ্বে ১৫তম। বিভিন্ন দেশের ৪ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে।

প্রতি বছর ১৯৬টি দেশের শিক্ষার্থী পড়তে আসে এখানে। এটি এমনই এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে রয়েছে ৫২টি একাডেমিক ভবন, ৫৭টি কম্পিউটার ল্যাব, ১৬টি আবাসিক হোস্টেল, ২৮টি হাসপাতাল, ৭টি স্টেডিয়াম এবং ২২টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র। ২৮টি হাসপাতাল থাকার কারণে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক শিক্ষার সুযোগ অনেক। তারা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে বিশ্বমানের চিকিৎসক হিসেবে। ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে ই্উরোপ-আমেরিকায় যাওয়া চিকিৎসকরা প্রাকটিস করতে গেলে যেখানে আবার দীর্ঘ কোর্স করতে হয়ে, সেখানে ডিএনএমইউর শিক্ষার্থীদের তা লাগবে না। তারা সরাসরি প্রাকটিস শুরু করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মেডিক্যাল কাউন্সিল, নিউইয়র্ক মেডিকেল কাউন্সিল, কার্ডিফ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার, ফ্রান্স মেডিকেল কাউন্সিলের যৌথ গবেষণা অংশীদার। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বেশি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে।

ডিএনএমইউর মেডিক্যাল ডিগ্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনেস্কো, পিএলইউবি (ইউকে), ইউএসএমএলই (যুক্তরাষ্ট্র), ইউরোপীয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল, মেডিকেল কাউন্সিল অব আফ্রিকা এ্যান্ড এশিয়ান কান্ট্রিজ কর্তৃক অনুমোদিত। তাই এমবিবিএস পড়া শেষে চাকরির জন্য কোন প্রফেশনাল পরীক্ষা দিতে হয় না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি পাস হতে হবে। তবে জীববিজ্ঞানে জিপিএ কমপক্ষে ৩.৫ থাকতে হবে। পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজী হলেও বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের আইএলটিএস-এর প্রয়োজন নেই। এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জনের পর শিক্ষাথীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসমূহ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্ব নেয়া ও বসবাসের সুযোগ পাবে। এছাড়াও পড়াশোনাকালে গ্রীষ্মের ছুটিতে ইউরোপের যে কোন দেশে গিয়ে ৩ মাস কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

আগামী জানুয়ারি সেশনের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সার্কভুক্ত দেশসমূহের শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ডিএনএমইউ দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করেছে।

যোগাযোগ : সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিআইএস) বাড়ি-২৭,রোড-২ সেক্টর-৯, উত্তরা, ঢাকা।

Sharing is caring!

Leave a Comment