১০০ ঘুড়ি উড়িয়ে অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে ১০০টি ঘুড়ি উড়িয়ে চার দিনব্যাপী ‘১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উৎসব উদযাপন শুরু করল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আজ ২২ জানুয়ারি ২০২০ (বুধবার) আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিষ্ঠাবর্ষিকীর উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, এমপি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিন অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের মুখাকৃতিসহ বিভিন্ন ধরনের ১০০টি ঘুড়ি উড়িয়ে উৎসবের সূচনা করেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া অষ্টাদশ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল গার্ড অব অনার, বাস র্যালী, আলোচনা অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপন, বনভোজন, পিঠা উৎসব, প্রদর্শনী, সেলিব্রেটি শো, খেলাধূলা, ফান ইভেন্টস, সাইকেল র্যালি, মানবলোগো ইত্যাদি। অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্নিল সাজে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বলেন, সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতার কারণে সরকার সব সময় এ দায়িত্ব পালন করতে পারে না। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সেই গুরুদায়িত্ব পালন করে সরকারকে সহযোগিতা করেেছ। শিক্ষা বিস্তারে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করার জন্য ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।
নিয়মিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, অ্যালামনাই ও নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বাড়াতে এবং মৈত্রীর সেতুবন্ধন তৈরিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়কেও নিয়মিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজন করার আহ্বান জানান ডা. এনামুর রহমান। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এটি একটি বিশ্বমানের সবুজ ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে মনে হয় একটি থিম পার্ক কিংবা রিসোর্টে প্রবেশ করেছি। নয়নাভিরাম এই ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদেরকে উদ্ভাবনী মেধাকে বিকশিত করছে। তার প্রমাণ, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা ১০০টি ঘুড়ি তৈরি করেছে। এই উদ্ভাবন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. সবুর খান বলেন, নিজের ক্যারিয়ারের উন্নয়নের জন্য নিজের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। তরুণদেরকে তাই ছাত্রাবস্থাতেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নিজের দক্ষতা তৈরি করতে হবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে অসংখ্য কাজ করে থাকে। উদাহরণ হিসেবে তিনি আর্ট অব লিভিং, এমপ্লয়াবিলিটি ৩৬০ ডিগ্রি, ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ ইত্যাদির কথা বলেন।
ড. মো. সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়তে পারে সেই উদ্দেশ্যেই ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪০ হাজার ল্যাপটপ বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যাতে চাকরি না খুঁজে চাকরি দিতে পারো সেই লক্ষ্যে এসব ল্যাপটপ কাজে লাগিয়ে তোমরা উদ্যোক্তা হও। এসময় তিনি ইনোভেশন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ বিভাগ, ড্যাফোডিল বিজনেস ইনকিউবেটর, বাংলাদেশ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল লিমিটেড, গ্লোবাল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ইউক আয়োজন, ইন্ডাস্ট্রি একাডেমিয়া লেকচার সিরিজ, গ্লোবাল মানি উইক আয়োজন, গেট ইন দ্যা রিং, হাল্ট প্রাইজ, টেডএক্স আয়োজনসহ ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন যা তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী করছে বলে মন্তব্য করেন ড. মো. সবুর খান।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আশুলিয়ায় ১৫০ একর জায়গার উপর সর্বাধূনিক সুবিধা সম্বলিত আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছেলে ও মেয়েদের পৃথক আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে করেছে ২০১১ সাল থেকে। এখানে কোলাহলমুক্ত ছায়া সুনিবিড় শান্ত সবুজ পরিবেশে আধূনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত খেলার মাঠ, অডিটরিয়াম ছেলে ও মেয়েদের পৃথক আবাসিক হল, সুইমিং পুল, জিমনেশিয়াম, বাস্কেটবল গ্রাউন্ড, টেনিস কোর্ট সহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন রয়েছে।