‘সেরাদের সেরা’ হওয়া অসম্ভব নয়
- ক্যাম্পাস ডেস্ক
৪ জুলাই, ২০১০। ২৯ জন শিক্ষার্থী ও একজন মাত্র শিক্ষক নিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ৫ম বিভাগ হিসেবে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের যাত্রা শুরু। নানা চড়াই উতরাই অতিক্রম করে, আট বছর পেরিয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগটি এখন নোবিপ্রবির অন্যতম সেরা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ বিভাগ।
বিভাগটিতে রয়েছে ‘মাইক্রো বিট’ ‘বায়ো ইনফরমেটিক্স’ ও ‘মাইক্রোবায়োলজি ব্লাড ডোনেশন ক্লাব’ ইত্যাদি ক্লাব। ‘মাইক্রো বিট’ ও ‘বায়ো ইনফরমেটিক্স’ ক্লাব শিক্ষার্থীদের উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। আর ‘মাইক্রোবায়োলজি ব্লাড ডোনেশন ক্লাব’ বিশ্ববিদ্যালয়ের গন্ডি পেরিয়ে নোয়াখালী অঞ্চলে রক্তদানের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে বিভিন্ন ব্যাচে এখন প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের কাছে অণুজীববিজ্ঞান শুধুমাত্র একটি বিভাগই নয়, তাদের সকলের কাছে এটি একটি পরিবার। আর পরিবারের সকল সদস্যই যেন পারস্পরিক আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ। পড়াশুনার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষ্ঠানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে অণুজীববিজ্ঞান পরিবার। নববর্ষ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবসসহ সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন, দাবাসহ সকল আউটডোর এবং ইনডোর গেমসে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ফলাফল বরাবরই সন্তোষজনক। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত মুখ ‘ডিরেক্টর সাহেব’ ও অণুজীববিজ্ঞান পরিবারই সদস্য!
শিক্ষা সফরের ক্ষেত্রে অন্য যেকোনো বিভাগের চেয়ে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ অনন্য! কেননা অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সকল ব্যাচ একসাথে শিক্ষাসফরে যাওয়ায় আনন্দটাও বেশি। নোবিপ্রবিতে প্রতিবছর ইনডোর গেমসের আয়োজন একমাত্র অণুজীববিজ্ঞান বিভাগেই হয়ে থাকে। শুধুমাত্র একাডেমিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ নয়, নিজেদের যৌক্তিক অধিকার আন্দোলনেও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ খুবই সোচ্চার। ২০১৬ সালের অণুজীববিজ্ঞান পরিবারের পাঁচ দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনটি নোবিপ্রবির ইতিহাসে অন্যতম সফল ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ প্রায়শই বলে থাকেন, ‘অণুজীববিজ্ঞান বিভাগ শুধুমাত্র নোবিপ্রবিই নয়, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা হিসেবে একটা বিভাগ হিসেবে গড়ে ওঠবে’। নোবিপ্রবির অণুজীববিজ্ঞান পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই বিশ্বাস করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্তরিক চেষ্টা ও পরিশ্রমে ‘সেরাদের সেরা’ হওয়া মোটেই অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয়।