পড়ার জন্য প্রবাসে

পড়ার জন্য প্রবাসে

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় পাশ করার পরই আমেরিকায় গিয়ে স্নাতক স্তরে পড়া যায়৷ সেক্ষেত্রে একটা পরীক্ষায় বসতে হয়৷ পরীক্ষাটি দিতে হয় দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার আগেই৷ যার নাম স্যাট৷ রিজনিং নিয়ে পড়ুয়াদের মেধা যাচাই করা হয়ে থাকে এই পরীক্ষায়৷ স্যাট-এর পাশাপাশি আরও একটি পরীক্ষা দিতে হয়৷ তার নাম টোয়েফল৷ ইংরেজি ভাষায় কতটা পারদর্শিতা রয়েছে, তা যাচাই করতেই এই পরীক্ষা নেওয়া হয়৷

স্যাট পরীক্ষার সাধারণত দু’ভাবে হয়ে থাকে৷ স্যাট ওয়ান এবং স্যাট টু পরীক্ষা৷ স্যাট ওয়ান পরীক্ষা হল জেনারেল রিজনিং টেস্ট৷ যে বিষয় নিয়ে আমেরিকায় পড়তে চাইছে কোনও ছাত্র বা ছাত্রী, সেই বিষয়ের উপর নির্দিষ্ট পরীক্ষা হল স্যাট টু৷ স্যাট টু অনেক সময়ই নির্ভর করে শিক্ষার্থী কোথায় কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে, কী বিষয় নিয়ে পড়তে চাইছে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে কী চাইছে, তার উপর

কী কী বিষয় পড়া যায়
আমেরিকায় স্নাতক স্তরে আইন এবং চিকিত্‍সাশাস্ত্র বাদ দিয়ে সব বিষয়ের জন্য পড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে আবেদন করতে পারে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা৷ মার্কিন নাগরিক ছাড়া বাকিরা আইন এবং চিকিত্‍সাশাস্ত্র পড়তে যেতে পারে স্নাতক স্তরের পর

মার্কিন শিক্ষা ব্যবস্থায় স্নাতক কাঠামো
যে সব ছাত্র আমেরিকায় স্নাতক স্তরে পড়তে যায়, তাদের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট অ্যাপ্লিকেন্ট বলা হয়৷ কলা বিষয়ে পড়তে গেলে চার বছর পরে পড়ুয়ারা বিএ বা ব্যাচেলর অফ আর্টস ডিগ্রি অর্জন করে৷ আর বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে গেলে ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ডিগ্রি পায়৷ এই চার বছরের ডিগ্রি কোর্সের প্রথম বছরের পড়ুয়াদের বলা হয় ফ্রেশম্যান৷ দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বছরে যথাক্রমে বলা হয় সোফোমোর, জুনিয়র এবং সিনিয়র ইয়ার্স৷ চার বছরের একটা সাধারণ পড়াশোনার কোর্স পড়ানো হয় মার্কিন মুলুকে৷ এর মধ্যে এক চতুর্থাংশ সময় ধরে কোর্স ওয়ার্ক করতে হয়

মেজর
এটা আমাদের দেশের অনার্সের সমতুল৷ যেমন ইংরেজি সাহিত্য, অ্যানথ্রোপলজি, রসায়ন, ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, অঙ্ক।

কগনেটস
পড়ার বিষয়, সেই বিষয়ের সঙ্গে কোনও বিষয় মেজর হিসেবে সংযুক্ত৷ (যেমন জার্নালিজম পড়তে গেলে ইংরেজি মেজর সাবজেক্ট থাকবে)।

ঐচ্ছিক
চার-পাঁচটা বিষয়ের মধ্যে কয়েকটা বিষয় ঐচ্ছিক কোর্স হিসেবে নিতে হয়৷
তবে প্রথম বছরে কোনও সাধারণ বিষয় নিয়ে পড়তে হবে৷ কোনও স্পেশ্যলাইজেশন করা যাবে না৷ দ্বিতীয় বছর থেকে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে স্পেশ্যালাইজেশন করা যাবে৷ বিজ্ঞান ও কলা বা সাহিত্য, সব ক্ষেত্রেই একই নিয়ম।

সাধারণ পড়ার বিষয়
ইংরেজি-সহ অঙ্ক, বিজ্ঞান, কলাবিদ্যা, সমাজবিজ্ঞান এবং বিদেশি ভাষা সাহিত্য।দলে দলে কাজ

Sharing is caring!

Leave a Comment