ব্যাতিক্রমী ৫ স্কুল

ব্যাতিক্রমী ৫ স্কুল

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

অনেকের কাছে স্কুল যেন ভীষণ ভয়ের জায়গা। আবার কারো কাছে অতি আনন্দেরও। যদিও এখনকার স্কুলগুলো হয়ে উঠেছে অনেক আধুনিক আর শিক্ষার্থীদের প্রতি বন্ধুসুলভ। তবে সেগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে ব্রিটেনের গুটিকতক স্কুল। এমন পাঁচ স্কুলের কথা জানুন এই প্রতিবেদনে।

টানা তিন দিন ক্লাস

একসময়ে একসঙ্গে অনেক বিষয়ে মন না দিয়ে বরং একটা বিষয়ে গভীরভাবে মনোনিবেশ করলে সে বিষয়ে ভালো ধারণা জন্মে—এমনটাই বিশ্বাস লিসোয়েস কমিউনিটি কলেজের। সপ্তাহের অন্তত এক দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বিশেষ একটি বিষয়ে একান্ত মনোনিবেশের পালা। আর এভাবে একটা বিষয়ে খুব ভাল ধারণা জন্মে শিক্ষার্থীদের। এ পদ্ধতি যে সত্যিই উপকারী, তার প্রমাণ মেলে পরীক্ষার ফল দেখেই। ওই স্কুলে এ থেকে সি পর্যন্ত গ্রেড পাওয়ার হার ৪০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯১ শতাংশে।

kalerkantho-31-08-16-18গণতান্ত্রিক স্কুল

১৯২১ সালে যাত্রা শুরু করলেও সামারহিল স্কুল অনেক আধুনিক স্কুলকেও হার মানিয়েছে স্বাধীনচেতা মনোভাবের কারণে। গণতন্ত্র চর্চা কেবল বড়দের বিষয় নয়; বরং ছোটদেরও রয়েছে মতামত দেওয়ার অধিকার—এমনটাই বিশ্বাস করে এ স্কুল-কর্তৃপক্ষ। তাই এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের আর দশটা স্কুলের শিক্ষার্থীদের মতো রোজ রোজ জোর করে স্কুলে যাওয়া লাগে না। যে যার ইচ্ছামতো স্কুলে যায়, যা খুশি করে বেড়ায়। কারো যদি সারা দিন খেলতে ইচ্ছা করে, তাতেও বাধা নেই। নিজের ইচ্ছামতো চলার এ স্বাধীনতা শিক্ষার্থীদের শরীর ও মন দুটির জন্যই উপকারী—এমনটাই মনে করে কর্তৃপক্ষ। স্কুলের যেকোনো সভায় শিক্ষকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদেরও রয়েছে ভোটের সমান অধিকার।

থাকব নাকো বদ্ধ স্কুলে

লেক ডিসট্রিক্ট ন্যাশনাল পার্কের পাহাড়, নদী আর হ্রদে ঘেরা মনোরম পরিবেশের মাঝে উইন্ডারমিয়ার স্কুল। এ স্কুলের শিক্ষার্থীদের চার দেয়ালে আটকে থাকতে হয় কমই। এ স্কুলে রয়েছে নানা আউটডোর কেন্দ্র, যেখান থেকে বাইরের নানা মজার কাজের আয়োজন করা হয়। মাঝেমধ্যে নৌকা চালাতে চালাতেও ক্লাস করে শিক্ষার্থীরা।

বিরতিময়

টাইন অ্যান্ড উইয়ার শহরের মংকসিয়াটন স্কুলে একটি বিষয় পড়ানো হয় পর পর তিনবার। মাঝে দশ মিনিট করে বিরতি। এ সময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে। কোনো শিক্ষার্থী কলম, খাতা কিংবা বই ব্যবহার করে না। কম্পিউটারে পাওয়ারপয়েন্টে ঝড়ের গতিতে দেখানো স্লাইডগুলো গেঁথে নেওয়ার চেষ্টা চালাতে থাকে সবাই। আর এভাবে পড়া বোঝার কারণে তাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা যে অনেকখানিই বেড়েছে, তার প্রমাণও দিয়েছে স্কুলটির ফলাফল।

গণিত-বিজ্ঞান দারুণ মজা

স্যার আইজাক নিউটন সিক্সথ ফর্ম স্কুলের হালচালই আলাদা। স্কুলটি একটি পুরনো ঐতিহ্যবাহী ফায়ার স্টেশনে গড়ে ওঠা। এটিই ব্রিটেনের প্রথম গণিত ও বিজ্ঞানের জন্য নিবেদিতপ্রাণ স্কুল। স্কুলে এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়, যাতে কেউ মনে না করে যে বিজ্ঞানীরা আঁতেল প্রকৃতির মানুষ। বরং বিজ্ঞানের নানা মজার দিক বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরা হয়, যাতে তারা গণিত আর বিজ্ঞানকেই নিজেদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে নিতে উৎসাহী হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠfavicon59

Sharing is caring!

Leave a Comment