দেশের বাইরে ইন্টার্নশিপ

দেশের বাইরে ইন্টার্নশিপ

  • ক্যাম্পাস ডেস্ক

দেশের বাইরে ইন্টার্ন, সে তো মহা ঝামেলার বিষয়। কোথায় করবো, কোন প্রতিষ্ঠানে করবো, সেখানে গিয়ে কিভাবে সবকিছু গুছাবো, থাকা-খাওয়া, তারপর কাজে নেমে পড়া। সে তো এক বিশাল যজ্ঞ। আর ইন্টার্নশিপের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান কনফার্ম করা তো আরও দুঃসাধ্য। তাইতো দেশের বাইরে ইন্টার্ন করার স্বপ্ন থাকলেও তা পূরণ হয় না অনেক শিক্ষার্থীর।

আচ্ছা, যদি নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ই এ সুযোগ করে দেয়? আসলেই কি সেটা সম্ভব? ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, ইউল্যাব তাদের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য করে দিয়েছিলো সে রকমই একটি সুযোগ। এশিয়া সেন্টারের সহযোগিতায় ইউল্যাব যৌথভাবে আয়োজন করেছিলে এক ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের।

থাইল্যান্ডের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল হল থাই পিবিএস, বেসরকারি চ্যানেল ভয়েজ টিভি টুয়েন্টি ওয়ান, আসিয়ান কালচারাল সেন্টার, স্টেনডেন ইউনিভার্সিটি, ফরেন করেসপন্ডেন্ট ক্লাব অব থাইল্যান্ডসহ সেখানকার ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতি নিয়ে ইন্টার্ন করে অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে দেশে ফিরলো ইউল্যাবের এমএসজে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

ইন্টার্নশিপের কো-অর্ডিনেটর এবং ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রভাষক নাইমা আলম বলেন, ‘ইউল্যাবে ইন্টারকালচারাল ব্যাপারটা অনেক বড় একটা বিষয়।  আমাদের একটি পাঠ্যসূচিই আছে ইন্টারকালচারাল কমিউনিকেশন নামে। আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত না, ওরা বিদেশের জন্যও প্রস্তুত। এই বিষয়টা হাতে-কলমে দেখার জন্যই এ ধরনের আয়োজন। যার মাধ্যমে তারা বুঝতে পেরেছে দেশের বাইরে কাজ করার জন্য তারা প্রস্তুত কিনা কিংবা তার দ্বারা এটা সম্ভব কিনা। এটা আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটা বড় সুযোগ যে তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে যে তারা দেশের বাইরেও যে কোনো ধরনের কাজ করার জন্য সবসময়ই প্রস্তুত।’

ইন্টার্নশিপের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কিছু গবেষণামূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে থাইল্যান্ডের বিটিএস স্কাই ট্রেন, ডায়াস্ফোরা ও ট্যুরিজম, থাই শিক্ষার্থী, থাই মাইনরিটি কমিউনিটি, থাই খাবার কিংবা থাই এবং বাংলাদেশি কোলাবোরেটিভ মিউজিক প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করে।

প্রজেক্টের কাজগুলো করতে গিয়ে আমরা সবাই কমবেশি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো খুব সুন্দর ও সফলভাবে সে সমস্যাগুলোর সমাধান করেছি। আমাদের ইন্টার্নশিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সেই কাজগুলো বেশ পছন্দ হয়েছে। সবসময়ই আমাদের ভেতরের মেধা এবং পটেনশিয়ালিটি নিয়ে কাজ করার জন্য দারুণ অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। সফলভাবে ইন্টার্নশিপ শেষ করে আসা শিক্ষার্থী শৈবাল সাহা এভাবেই বলছিলেন তার অভিজ্ঞতার কথা।

সূত্র: ইত্তেফাকfavicon59-4

Sharing is caring!

Leave a Comment